176215

ব্লু হোয়েল খেলা মানেই নিজেকে ব্লাকমের ফাঁদে ফেলা : অনন্ত জলিল

বিনোদন ডেস্ক : ‘ব্লু হোয়েল গেম’ বর্তমান সময়ে দেশের সবচেয়ে বহুল আলোটিত একটি বিষয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব ‘ব্লু হোয়েল’ প্রসঙ্গটি। সচেতনার সৃষ্টির পাশাপাশি চলছে এই মরণঘাতী খেলা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ আদান প্রদান।

এই গেইম সম্পর্কে বলা হচ্ছে, ৫০ দিনে ৫০ ধাপে এই গেমটি শেষ পর্যন্ত ইউজারকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিবে। আর এই মরণব্যাধী গেইমটি নিয়ে কথা বললেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। এক ফেসবুক পোস্টে এই গেম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এই নন্দিত অভিনেতা।

অনন্ত জলিল ফেসবুক স্টাটাসে বলেন, ‘আশা করি আল্লাহতায়ালার দয়ায় আপনারা সবাই ভাল আছেন। তবে আমি মানসিকভাবে কিছুটা আঘাতপ্রাপ্ত, তার কারন ব্লু হোয়েল গেমসের চিন্তায়। এই গেমসটির কারন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেশ কয়েকজন সম্ভবনাময়ী প্রান কেড়ে নিয়েছে। আর তার বিষাক্ত ছোবল আমাদের প্রিয় বাংলাদেশেও পরেছে।

যার ফলে আমি শংকিত, আমার দেশের সম্ভবনাময় তরুন-তরুনী নিয়ে। তবে আশাকরি বাংলাদেশের যুবক-যুবতীরা বেশ মেধাবী এবং জ্ঞানী। তারা জানেন এই গেমস তাদেরকে শুধু বিপদেই ফেলবে না, তাদের সাথে তার পরিবারকেও অনিশ্চিত রাস্তায় ঠেলে দিবে। আমি আল্লাহর কাছে কড়জোড়ে দোয়া করছি, আল্লাহ যেন বাংলাদেশের সকলকে বিশেষ করে যারা গেমস খেলেন তাদেরকে এই বিপদগামী গেমসের হাত থেকে রক্ষা করেন।

বন্ধুগন, একটা কথা ভাবতে হবে, কেন আমরা অপরের নির্দেশনায় যাকে আমরা কখনও দেখেননি, যার পরিচয় জানেন না তার কথায় কেন নিজের জীবন অকালে বিলিয়ে দিবেন? আমরা জানি আত্মহত্যা মহাপাপ, তবে কেন আমরা এই গেমস খেলতে যাবো? কেনো এই গেমসের সাথে সংযোগ স্থাপন করবো?

আমরা অবশ্যই এই গেমস থেকে দূরে থাকবো, এবং কেউকে এই যদি খেলতে দেখলে বা শুনলে অবশ্যই তাকে আমরা গেমসটি হতে যে কোন উপায়েই ফিরিয়ে আনবো। কারন সে তো অবশ্যই কারো সন্তান, ভাই বা বোন। আমি চাইনা শুনতে আমার প্রিয় দেশের কেউ এই গেমসের প্রভাবে নিজের সামান্যতম ক্ষতির সম্মুখীন হোক।

বন্ধুগন, এইসব ফালতু গেমস নিজের মোবাইলে ইন্সটল করে নিজের পার্সোনাল ইনফরমেশন গেমসের এডমিনকে একসেস দেয়ার কোন মানেই হয় না। অপরকে ব্লাকমেল করতে দিবেন কেন? ব্লু হোয়েল খেলা মানেই নিজেকে ব্লাকমেল এ ফেলা।

একটু মাথা খাটান ..
ধরুন অপরিচিত কেউ আপনার একটা একান্তই ব্যক্তিগত ছবি চাইল। যে ছবি অন্য কেউ দেখলে আপনার মানসন্মান শেষ। আপনি দিবেন?
ব্লু হোয়েল এই সব ই গেমের মাধ্যমে চাইবে।
সুতরাং এইসব ফালতু জিনিস মাথায় না নিয়ে মাথা খাটান ভালো কিছুতে যা নিজের এবং মানুষের উপকারে আসে।

বন্ধুগন, আমরা বেশির ভাগই মুসলিম ঘরের সন্তান। ইসলাম আমাদের শান্তির পথ দেখায়, ভালো ও আলোর পথ দেখায়। আসুন এ সব বিপথে পরিচালিত গেমসকে দূরে ফেলে, সে সময়ে ভালো কিছু করি। বর্তমান সরকার তথ্য প্রযুক্তিকে অনেক এগিয়ে নিয়েছে। আমরা চাইলে সফটওয়্যার, ফটোশপ, গ্রাফিক্স সহ অনেক সেক্টরে কাজ করতে পারি লেখাপড়ার পাশাপাশি। এতে যেমন নিজের প্রতিভাকে যর্থাথ ব্যবহার করা হবে তেমনিভাবে দেশ এগিয়ে যাবে।

বন্ধুগন, আশাকরি আমরা নিজেও এ গেমসে ধারে কাছে যাবো না, অপরকেও যেতে দেবো না। কেউ যদি এ গেমসের প্রতি অলরেডি আসক্ত হয়ে পড়েছে দেখলে, তাকে যথাযথ উপায়ে গেমসের নিকট থেকে ফিরিয়ে আনবো।’

ad

পাঠকের মতামত