বাসা থেকে পালাতে গিয়ে ৭ তলার কার্নিশে আটকা পড়ল কাজের মেয়ে
ঢাকা শ্যামলীর রিং রোডের শ্যামলীবাগের একটি বাসার গৃহকর্মী আসমা (১০) নিজ গ্রামে মায়ের কাছে যাওয়ার জন্য ছাদ বেয়ে নামতে গিয়ে ৭ তলার কার্নিশে আটকা পড়ে।
রবিবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। পাশের ভবন থেকে ইফফাত হোসেন সরণী নামের এক শিক্ষার্থী এ ঘটনা দেখে পুলিশকে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করেন।
জানা যায়, গৃহকর্মী আসমা নিজ গ্রামে মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু ওর মা নিষেধ করে বলে দেয়, ‘আসবি না। ঢাকা থাকলে টাকা পাবি।’ এরপরও যেতে চায়। নিচে গেলে দারোয়ান আটকে দেবে ভেবে ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে নামতে যায়। একতলা নেমেও যায়, কিন্তু নিচে তাকিয়ে আর সাহস পাচ্ছিল না। ঘণ্টা খানেক এভাবেই আটকে থাকে। রবিবার দুপুরে হঠাৎ করেই ইফফাত হোসেন সরণী নামের এক শিক্ষার্থী দেখেন, পাশের একটি ভবনের ছাদ থেকে পাইপ বেয়ে এক শিশু নামছে। একটি ফ্লোর নামার পরই সে থেমে যায়। আশপাশে তাকায়, আর ভয়ে চিৎকার করতে থাকে। তখন সরণী ফোন করেন আদাবর থানায়। আদাবর থানার পুলিশ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে জানায়। ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ একই সময়ে এসে উপস্থিত হয়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শিশুকে উদ্ধার করেন।
কিশোরী জানায়, ‘মায়ের কাছে যাওয়ার জন্যই সে ওই দুঃসাহসী উদ্যোগটি নেয়। পুলিশকে সে জানায়, সে যেখানে থাকত, তারা তার সঙ্গে সব সময়ই ভালো ব্যবহার করত, খাবার দিত এবং কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার করতেন না। এরপরও মায়ের কাছে যাওয়ার জন্যই সে পালাতে চেয়েছে।’
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুর বাড়ি বরিশালের হিজলায়। দারিদ্র্যের কারণে শিশুকে তার মা সরকারি কর্মকর্তার বাড়িতে কাজে দিয়েছেন। কিন্তু শিশুটির সেখানে থাকতে ভালো লাগছিল না।