এটা ব্যক্তিগত খেলা না; আমি কেন নেতৃত্ব ছাড়ব: মুশফিক
‘আমি কেন সরে যাব? এটা তো ব্যক্তিগত কোনো খেলা না, দলীয় খেলা। অবশ্যই অধিনায়ক হিসেবে সব ব্যর্থতায় দায় আমার দিকেই আসবে। আমি সেই দায় নিচ্ছি। দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া আমার জন্য অনেক সম্মানের। আমি গর্বিত। এটা হবে বোর্ডের সিদ্ধান্ত। কারণ, তারাই আমাকে এনেছে। ‘
টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনের জবাব এভাবেই দিলেন মুশফিকুর রহিম। ব্লুমফন্টেইন টেস্টে ইনিংস হারের পর সংবাদ সম্মলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নবানের মুখে পড়েন মুশফিক। গত রাত থেকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটপাড়ায় গুঞ্জন শুরু হয় যে, মুশফিককে হয়তো সরিয়ে দেওয়া হবে নেতৃত্ব থেকে। বোর্ড যদি সরিয়ে দেয় তবে কোনো আপত্তি নেই মুশির, তবে নিজে থেকে দায়িত্ব ছাড়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি।
টেস্ট অধিনায়ক বললেন, ‘আমাকে সরানো হবে কি না এই সিদ্ধান্তের ভার বোর্ডের ওপর। তারাই আমাকে এই সম্মান, দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সততার সঙ্গে আমার সেরা চেষ্টা করেছি। তারা যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ‘
মুশফিককে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে বড় যুক্তি হলো দলের আভ্যন্তরীণ বিষয় মিডিয়ার কাছে প্রকাশ করা। মুশি যে আবেগের বশে এই কথাগুলো বলেন সেটা অবশ্য সবাই স্বীকার করবেন। যেমন ব্লুমফন্টেইন টেস্টের প্রথম দিন শেষে মিডিয়ার সামনে বলেছিলেন, কোচদের চাওয়ায় সীমানায় ফিল্ডিং দিতে হয় তাকে। তার বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের পর দলে নিজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুশফিক।
তবে নিজের মন্তব্যের ব্যাপারে কোনো অনুশোচনা নেই টাইগার ক্যাপ্টেনের। বললেন, ‘যা ঘটেছে আমি প্রথম দিনের খেলা শেষে কথা বলতে এসে কেবল তারই বর্ণনা দিয়েছি। যদি কেউ আমার মন্তব্যে খুশি না হয় তাদের অধিকার আছে আমার বা দলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। ‘
চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। তার আগেই হয়তো সিদ্ধান্ত জানাবে বিসিবি। আজ শেষ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত, দলের এবং নিজের বাজে পারফর্মেন্স মিলিয়ে বেশ তেতে আছে বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।