হয় বিয়ে, নয় আত্মহত্যা
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুদিন ধরে অনশন করছেন শাহানাজ আক্তার (২০) নামে এক গার্মেন্টকর্মী। মঙ্গলবার দুপুর থেকে উপজেলার চন্দনপাঠ গ্রামের তারু মিয়ার (তারু মুন্সী) বাড়িতে অনশন শুরু করেন তিনি।
শাহানাজ আক্তার পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার নিথক অচিনতলা গ্রামের শফিকুল ইসলামের মেয়ে। তার প্রেমিক উপজেলার চন্দনপাঠ গ্রামের তারু মিয়ার (তারু মুন্সী) ছেলে নুরনবী হোসেন (২২)। অবস্থা বেগতিক দেখে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক নুরনবী হোসেন।
অনশনরত শাহানা আক্তার বলেন, এক বছর ধরে নুরনবীর সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের টানে নুরনবী ঢাকায় ছুটে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভাড়া বাসায় আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেখানে এক সপ্তাহের বেশি সময় অতিবাহিত করেন। এরপর থেকে তিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে বিপাকে পড়ে গার্মেন্ট ছেড়ে প্রেমের টানে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, দুদিন ধরে বিয়ের দাবিতে অনশন করছি কিন্তু ছেলের পরিবার ছেলেকে কৌশলে অন্যত্র সরিয়ে দিয়েছে। প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে না হলে আত্মহত্যা করবেন বলেও উল্লেখ করেন এই তরুণী।
নুরনবীর বাবা তারু মুন্সী জানান, বিয়ের দাবিতে যেহেতু মেয়েটি অনশন করছে, তাই এলাকাবাসী বসে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
কমলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আলাল উদ্দিন আলাল জানান, ছেলের পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি তাকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখন কী অবস্থা তা তিনি জানেন না।
আদিতমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেশ্বর রায় বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।