ঢাকায় মিয়ানমার মন্ত্রীর নরম সুর
আরাকানে নতুন করে রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞ শুরুর পর পাঁচ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমার তাদের ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ বন্ধ করেনি। বাংলাদেশমুখী রোহিঙ্গা স্রোতের তীব্রতা কমে এলেও আসা বন্ধ হয়নি।
বাংলাদেশের অব্যাহত চাপ ও আন্তর্জাতিক তীব্র নিন্দার মুখে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের একজন মন্ত্রী ঢাকায় এসে গতকাল সোমবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন। বৈঠকে সু চির মন্ত্রীর সুর নরম হলেও সতর্ক ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে এবং এ মাসেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার যাবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তবে অতীতে অনেক দর-কষাকষি শেষে স্মারক স্বাক্ষরের পরও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা করেছে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশাপাশি বৈশ্বিক পর্যায়ে কূটনৈতিক তৎপরতাও অব্যাহত রাখতে হবে বাংলাদেশকে। রোহিঙ্গা নিধন নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিরাজমান উদ্বেগটিকে কাজে লাগাতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্ব যেহেতু এ বিষয়ে সোচ্চার রয়েছে, তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি চীন, রাশিয়া ও ভারতের সঙ্গেও আলোচনা চালাতে হবে। তখন মিয়ানমারের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি হবে।
গতকাল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় বৈঠকের পর বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ করেন সু চির মন্ত্রী ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই প্রতিনিধি।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই করে ফেরত নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করতে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে রাজি হয় মিয়ানমার পক্ষ। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের তরফে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করে তার খসড়া তুলে দেওয়া হয় সু চির মন্ত্রী টিন্ট সোয়ের হাতে। সোয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মতামত না দিয়ে নিজ দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানোর আশ্বাস দেন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো গণহত্যার প্রেক্ষাপটে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গার নতুন করে ঢুকে পড়া এবং আগে থেকে থাকা চার লাখ রোহিঙ্গার কারণে বাংলাদেশের উদ্বেগ ও সমস্যার কথাও শোনেন সোয়ে এবং তাদের ফেরত নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক ও স্বরাষ্ট্রসচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তাফা কামাল উদ্দীন।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। সু চির মন্ত্রী রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার কথা বলেছেন। এ জন্য একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে। খুব শিগগির এটি গঠিত হবে। গত ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা নিধনের কারণে বিশ্বজুড়ে মিয়ানমারের সমালোচনা বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এ নিয়ে মোট তিন দফা বৈঠক করেছে। তাই চোখে ধুলো দেওয়া বা সময়ক্ষেপণের জন্য মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করছে কি না—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন, ‘এটা বললে তো সম্পূর্ণ জিনিসই নষ্ট হয়ে যাবে। আলোচনা এভাবে হয় না। আলোচনার শুরুতেই সব কিছু নাকচ করে দিলে তো আর কোনো আলোচনা হবে না। ’
বৈঠকের ভেতরের পরিবেশ সম্পর্কে অংশ নেওয়া একজন কালের কণ্ঠকে বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতনের মুখে লাখ লাখ রোহিঙ্গা আসায় বাংলাদেশে যেসব সমস্যা হচ্ছে তা বৈঠকে তুলে ধরা হয় এবং তা মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল মনোযোগ দিয়ে শোনে। পরে বাংলাদেশের সমস্যার সঙ্গে একমত পোষণও করে তারা। এ কারণেই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবে রাজি হন সু চির মন্ত্রী। আলোচনাকালে সু চির মন্ত্রী অবশ্য তাঁদের দেশে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর হামলার বিষয়েও বক্তব্য দেন। তখন বাংলাদেশ কঠোরভাবে তাঁকে জানায় যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। এ দেশের মাটি কোনো সন্ত্রাসী গ্রুপকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।
বৈঠকে অংশ নেওয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিরাপত্তা, মাদকসংক্রান্ত কয়েকটি এমইউ স্বাক্ষরের অপেক্ষায় আছে। আমার মিয়ানমার সফরে যাওয়ার পর ওই এমইউগুলো স্বাক্ষর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর তাঁর সঙ্গে কথা বলে মিয়ানমারে যাওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ’ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের সত্যিকার অর্থেই ফিরিয়ে নেবে—বৈঠকে সু চির মন্ত্রী এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরের সময় ছয়টি এমইউ স্বাক্ষর হতে পারে। এসবের খসড়া অনেক আগে থেকেই তৈরি করা আছে। এর মধ্যে তিনটিতে স্বাক্ষর করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বাকি তিনটিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করবেন মিয়ানমারে থাকা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। চলতি অক্টোবরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিয়ানমারে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কত দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া সম্পন্ন হবে? মিয়ানমার নতুন আসা পাঁচ লাখকে ফেরত নেবে, নাকি আগে থেকে থাকা চার লাখকেও ফেরত নেবে? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘ঘোড়ার আগে গাড়ি, নাকি গাড়ির আগে ঘোড়া, কোনটা? যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে সম্মত হয়েছে। একটা সভা দিয়ে সব কিছু হবে না। যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি করতে হবে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে (প্রস্তাব) দেব, ওরা ওদের পক্ষ থেকে দেবে। এই ওয়ার্কিং গ্রুপ মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করবে। ’ আগে থেকে যারা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত করা আছে, তাদের ফেরত নেওয়ার কথা আলোচনা হয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগে চুক্তিটা হোক, তারপর বলা যাবে। এই আলোচনার সঙ্গে জাতিসংঘকে জড়ানো হবে না বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত পাঁচ দফা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটা পাঁচ দফার বিষয় নিয়ে তো নয়। এখন একটা প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হলো।
মাহমুদ আলী আরো বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করেছে। প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য দুই পক্ষই একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনে একমত হয়েছে। প্রত্যাবাসনপ্রক্রিয়া বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির প্রস্তাব করেছে। আমরা এই দ্বিপক্ষীয় চুক্তির একটি খসড়া মিয়ানমারের মন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেছি। সু চির মন্ত্রী খসড়া নিয়ে যাবেন। ’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশকে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আলোচনা ও তৎপরতা চালিয়ে যেতে হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমার যাতে তাদের কথামতো রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া শুরু করে, সে জন্য মিয়ানমারের সঙ্গেও আলোচনা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিলেও তারা রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান চায়। আর এ কারণেই নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনায় কোনো ভেটো দেয়নি স্থায়ী সদস্য দুটি। আর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বৃহস্পতিবার আলোচনার পর কোনো বিবৃতি বা সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। ফলে চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের পক্ষে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে তা নয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদের গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, এটা নিয়ে আমরা অসন্তুষ্ট না। কারণ দীর্ঘদিন পরে উন্মুক্ত সেশনে এজেন্ডাভুক্ত হয়ে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের শুরুতে জাতিসংঘের মহাসচিব যে বক্তব্য দিয়েছেন বা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। চীন, রাশিয়াসহ সকল দেশই বাংলাদেশকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তবে মিয়ানমারকে নিন্দা জানানো এবং রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নে রাশিয়া ও চীন কোনো বক্তব্য রাখেনি। মূলত নিরাপত্তা পরিষদে এটা ছিল আলোচনা। এখানে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আলোচনাটা অনুষ্ঠিত হয়নি। ’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, চীন মিয়ানমারকে পরিপূর্ণ সমর্থন দিয়েছে, তা নয়। তাদের অবস্থানের কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা চীন ও রাশিয়াকে নিয়ে কাজ করছি, সামনের দিনেও কাজ করব। আশা করি, তাদেরও উপলব্ধি হবে। আর সার্বিক অর্থে আমরা চাই কফি আনান কমিশনের সুপারিশের বাস্তবায়ন। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজুলেশনটাই যে শেষ সমাধান, তা নয়। ’
আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরাও বলছেন, জাতিসংঘের মাধ্যমেই বিশ্বের সব সমস্যার সমাধান হয় না। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পাশপাশি অন্যদের সঙ্গে বহুপক্ষীয় আলোচনায় থাকতে হবে। পশ্চিমা বিশ্ব যাতে রোহিঙ্গা ইস্যুটি ভুলে না যায়, সে জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বিশ্লেষকরা আরো বলছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মতো শক্তিশালী ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিন দফা আলোচনা হলো। অতীতে বাংলাদেশ কখনো রোহিঙ্গা বিষয়ে এভাবে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারেনি। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের ১৩ সদস্য রোহিঙ্গা নির্যাতনে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি বা কোনো সিদ্ধান্ত এলে তা বাংলাদেশের জন্য ভালো হতো।
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে চীন মিয়ানমারকে সমর্থন করলেও তাতে নমনীয়তা দেখছেন বিশ্লেষক ও কূটনীতিকরা। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেও রাশিয়া কৌশলগত কারণে মিয়ানমারকে সমর্থন দিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। গতকাল মিয়ানমার টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত প্রত্যাবাসন চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া হবে। যেসব রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে স্থলপথে বাংলাদেশে এসেছে, তাদের তাংপিওলিটিওয়া গ্রাম দিয়ে এবং যারা নদীপথে এসেছে তাদের নগাকুয়া গ্রাম দিয়ে ফেরত নেওয়া হবে। মিয়ানমারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ড. ডিন ময়্যাত আই বলেছেন, যেসব রোহিঙ্গার কাছে মিয়ানমার সরকারের দেওয়া পরিচয়পত্র আছে, মিয়ানমার সরকারের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তৃপক্ষের দেওয়া কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে এবং যারা প্রমাণ করতে পারবে যে তারা মিয়ানমারে ছিল এমন রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়া হবে। গত রবিবার রাত ১টা ৫ মিনিটে ঢাকায় নামেন সু চির মন্ত্রী। সোমবার রাতের ফ্লাইটে তাঁদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।