এইডস ঝুঁকিতে রোহিঙ্গারা
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যে ৬ জন এইচআইভি পজিটিভ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চিকিৎসকদের ধারণা, আরও অনেকেই হয়তো এই মরণব্যাধী রোগ বহন করছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহীন আবদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, এইচআইভি আক্রান্তদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কয়েক দিনেই ছয়জন রোগী পাওয়া গেছে। তার মানে অন্য রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যেও আরও রোগী থাকতে পারে।
জানা গেছে, গত ১৬ সেপ্টম্বের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে দুই নারীর এইচআইভি রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। ২৫ সেপ্টেম্বর একই ক্যাম্পের আরও দুই নারীর এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ে। পরে শরণার্থী ক্যাম্পের আরও দুজনের এই রোগ ধরা পড়ে। এ ছয়জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য ৫ জনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে কাজ করছে বেসরকারি সংস্থা আশার আলো সোসাইটি ও কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল।
আশার আলো সোসাইটির কাউন্সিলর প্রভাস পাল আমাদের সময়কে বলেন, কক্সবাজার সেন্টারে এ পর্যন্ত ছয়জন এইচআইভি পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে।
গত কয়েকদিন উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার শরণার্থী ক্যাম্পের কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এইচআইভি বিষয়ে কিছুই জানেন না। মিয়ানমারে থাকতে তারা চিকিৎসাসেবা পেতেন না। ফলে তাদের রোগব্যাধী শনাক্ত হতো না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলার উখিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাই লাউ প্রু মারমা আমাদের সময়কে বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে জোর করে কোনো কোনো নারীকে যৌন ব্যবসায় যুক্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোহিঙ্গা নারীরা যৌন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
এ ব্যাপারে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান আমাদের সময়কে বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সে জন্য চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে র্যাব।
সূত্র: দৈনিক আমাদের সময়