175673

বিয়ের রাতে পাত্রীর কাছে পাত্র কি চেয়ে বসল জানেন?শুনলে চমকে যাবেন আপনি….

ছেলে হয়ে জন্মেছি, সুতরাং সব বিষয়ে আমার কোথায় শেষ কথা। একইরকমভাবে বিয়ের অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও পাত্রপক্ষের যাবতীয় দাবিদাওয়া মেনে চলতে হবে পাত্রীপক্ষকে। পুরুষ শাসিত সমাজ ব্যবস্থায় এমনটাই চলে আসছে যুগ যুগ ধরে।

এই প্রথার উপযুক্ত প্রতিবাদ করলেন উত্তর প্রদেশের এক মহিলা। উত্তর প্রদেশের সাহারণপুর জেলার এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল প্রতিবাদী ওই মহিলার। পাত্রপক্ষের দাবি অনুযায়ী সব কিছুই করেছিল পাত্রীর পরিবার। বিয়ের রাতে নতুন আবদার করে হবু জামাই। বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে চাই দামি স্পোর্টস কার। এবং তা দিতে হবে পাত্রীপক্ষকে। অন্যথায় সে বসবে না বিয়ের পিড়িতে। পাত্রের পরিবারের তরফ থেকেও সমর্থন জানানো হয় পাত্রের এই আবদারকে। যার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে বিয়ের কনে এবং তাঁর পরিবার।

পাত্রের এহেন অন্যায় আবদার এবং পাত্রপক্ষের তাতে সায় দেওয়ার কারণে বিয়ের মণ্ডপ থেকে উঠে যান পাত্রী। সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি আর এই লোভী পাত্রকে বিয়ে করছেন না। মেয়ের এই সিদ্ধান্তকে পূর্ণ সমর্থন জানায় পাত্রীপক্ষের লোকেরাও। তবে সহজে ছেড়ে দেওয়া হয়নি পাত্রের পরিবারকে। বেআইনি পণ প্রথার বিরুদ্ধে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে পাত্রীর পরিবার। পাত্র সহ তার পরিবারবর্গকে বিয়েবাড়িতে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে সকলকে উদ্ধার করে।

পুলিশের তরফ থেকে স্থানীয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রবাল প্রতাপ সিং বলেছেন, “গাড়ি না পেলে বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেয় পাত্র। এই দাবি শুনেই বিয়ে করবে না মনস্থির করে ফেলে পাত্রী।

এরপরে ক্রব্ধ মেয়ের বাড়ির লোকেরা পাত্রপক্ষের সকলকে বিয়ের লজে আটকে রেখে আমাদের খবর দেয়।” পুলিশে খবর দেওয়ার আগে উভয়পক্ষ নিজেদের মধ্যে দর কষাকষি করেছিল বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। কিন্তু, সেই আলোচনা ব্যর্থ হলে কনে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।-কলকাতা২৪

ad

পাঠকের মতামত