‘ডির্ভোসের পরও আমার সঙ্গে একই রুমে থেকেছে’
বিনোদন ডেস্ক: অভিনেত্রী বাঁধন ও ব্যবসায়ী মাশরুর সিদ্দিকী সনেটের সংসার ভেঙ্গেছে ২০১৪ সালে। এতদিন বিষয়টি আড়ালে থাকলেও বর্তমানে তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সংসার ভাঙ্গা নিয়ে বাঁধন ও সনেট গণমাধ্যমে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া একমাত্র কন্যাকে নিজের কাছে রাখার অধিকার চেয়ে পারিবারিক আদালতে মামলা করেছেন বাঁধন।
বাঁধন বলেন, ‘সে (মাশরুর সিদ্দিকী) বাবা হিসেবে বল প্রয়োগ করে মেয়েকে কানাডায় পাঠিয়ে দিতে চায়। আসলে মেয়েটাকে সে আমার কাছ থেকে সরিয়ে নিতে চায়। আমি এটা কখনোই হতে দেবো না। একজন অভিনেত্রী হওয়া সত্ত্বেও মেয়ের জন্য নিজের ফিগার নিয়ে ভাবিনি। দীর্ঘ আড়াই বছর তাকে বুকের দুধ খাইয়েছি। একটা গৃহবধুও এমনটা করে না। আল্লাহ জানেন, আমার কাছের মানুষেরা জানেন, মেয়েটাকে আমি কত ভালোবাসি। এই মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে কম চেষ্টা করিনি সংসারটা টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘কে ভালো কে মন্দ সেটা মানুষ উপলব্দি করুক। সে আমার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবার বিয়ে করেছে। অথচ বিচ্ছেদের পরও সে মেয়ের দোহাই দিয়ে আমাকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় ঘুরতে গেছে। ‘ডির্ভোসের পরও আমার সঙ্গে একই রুমে থেকেছে। বলেছে, সম্পর্কটা আবার শুরু করবে। কিন্তু সে নতুন করে অন্য একটা মেয়েকে বিয়ে করেছে। সে আসলে আগা গোড়াই একটা ঠকবাজ। আমার আগেও সে বিয়ে করেছে। বিভিন্ন নারীদের সঙ্গেও তার অনেক কাহিনী আমি জেনেছি বিয়ের পর।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তো শোবিজে কাজ করি, কেউ বলতে পারবে এই কথা, কোনো প্রেম, সম্পর্ক বা স্ক্যান্ডাল রয়েছে আমার। কোনো হিরো বা পরিচালকের সঙ্গে আমার কোনো অনৈতিক সম্পর্কের কথা কেউ বলতে পারবে? এই মিডিয়াতে কিছুই গোপন থাকে না। সম্মান জানিয়ে সাংবাদিকরা হয়তো অনেক সময় লেখেন না, কিন্তু জানেন সবকিছু। কেউ কী বলতে পারবেন যে অমুকের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ কোনো সম্পর্ক আছে? আমি সবার সঙ্গেই কাজের প্রয়োজনে মিশি। কেউ কেউ আছেন পরামর্শক, ভাই-বন্ধু। সবসময় আমি মন দিয়ে কাজটাই করে যেতে চেয়েছি। অথচ সে আমাকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়েছে। কোনো প্রমাণ ছাড়াই আমাকে ছোট করে কথা বলছে।’
প্রাক্তন স্বামীর ইচ্ছেতে বিয়ের পরপরই মিডিয়ার কাজ ছেড়েছিলেন বলে দাবি করে বাঁধন বলেন, ‘বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় সন্তান নিয়েছিলাম। আমি যদি সংসার করতে না-ই চাইতাম, এগুলো কেন করলাম। কিন্তু সনেট বিয়ের পর বদলে যেতে থাকে। সে একজন ব্যার্থ স্বামী।’