175665

মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টায় সৎ বাবা গ্রেপ্তার

মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে রাজশাহীতে সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতের নাম মো. জিয়া (৪০)। তিনি দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বিনাকুলি বাজারের আজাহার আলীর ছেলে। জিয়া দীর্ঘদিন ধরেই রাজশাহী নগরীতে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি একজন বিস্কুট ব্যবসায়ী।

গত ২৯ আগস্ট জিয়ার বিরুদ্ধে নগরীর শাহ মখদুম থানায় ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা হয়। তার স্ত্রী মাজেদা বেগম ওরফে মালা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২৩ আগস্ট রাত একটার দিকে জিয়া তার সৎ মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ঘটনার পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন জিয়া। শুক্রবার ভোরে নগরীর সুজানগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, আট বছর আগে জিয়ার সঙ্গে মালার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। এরপর মায়ের কাছেই থাকতে শুরু করে মালার আগের স্বামীর একটি মেয়ে। এখন মেয়েটির বয়স ১০ বছর। এছাড়া জিয়া ও মালার পাঁচ বছরের একটি ছেলে সন্তানও আছে। তাদের নিয়ে জিয়া নগরীর বিহারী কলোনিতে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

গত ২৩ আগস্ট রাতে আলাদা একটি ঘরেই ঘুমিয়েছিল মেয়েটি। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন জিয়ার স্ত্রীও। এ সময় জিয়া তার সৎ মেয়ের ঘরে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা শুরু করেন। তখন মেয়েটি চিৎকার শুরু করে। এতে ঘুম ভেঙে যায় মালার। তিনি জিয়াকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ সময় বিষয়টি গোপন রাখার জন্য জিয়া তার স্ত্রীকে হুমকি দেন।

লজ্জায় ও ভয়ে মালাও বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করেননি। তবে তার সংসারে চরম অশান্তি নেমে আসে। এ নিয়ে জিয়া বাড়ি থেকে চলে গিয়ে সুজানগর এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন। পরে ২৯ আগস্ট থানায় গিয়ে মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন মালা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহমখদুম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমতাজ উদ্দিন বলেন, মামলা করতে বিলম্ব হওয়ায় মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়নি। তবে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহিদুল ইসলামের কাছে মেয়েটি জবানবন্দি দিয়েছে। সেখানে সে অভিযোগ করেছে, তার সৎ বাবা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে।

এসআই মমতাজ উদ্দিন জানান, জিয়াকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরবর্তীতে আদালতে জিয়ার রিমান্ডেরও আবেদন করা হবে।

ad

পাঠকের মতামত