মানুষের পর এবার ‘সিজার’ হলো গাভীর!
সন্তান প্রসবের খুব পরিচিত একটি পদ্ধতি ‘সিজার’। এতদিন এ পদ্ধতিটি ব্যবহার হতো মানুষ জন্মদানে। যদি শোনেন পশুর (গাভী) ডেলিভারি করতে এখন ‘সিজার’ লাগে! নিশ্চয় আশ্চর্য্য হবেন।
আশ্চর্য্য হওয়া কিছু নেই এবার সিজারের মাধ্যমে জন্ম নিলো একটি পশুর বাচ্চা। এমন ঘটনা ঘটেছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায়।
২০ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলার মনিপুর বাগানের চা শ্রমিক রবি দাসের গর্ভবতী গাভীটি মৃত্যুর যন্ত্রনায় ছটফট করছিল। প্রসবের সময় পার হলেও প্রসব না হওয়াতে গাভীটির বেঁচে থাকায় সৃষ্টি হয় দোটানা। সংকটে পড়ে তার জীবন।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা সার্জন ড. রমা পদ দে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা রবি দাসের বাড়িতে যাই। গাভীটির অবস্থা তখন খুব নাজুক ছিল। গাভীর গর্ভের বাচ্চার কোনো স্পন্দন পাচ্ছিলাম না আমরা।
আমরা গাভী বাঁচানোর লড়াই শুরু করলাম। কিন্তু বৈরী আবহাওয়া ও অপর্যাপ্ত আলো বাঁধা হয়ে দাঁড়াল। তবুও আমরা সাহস করে তার শরীরে অস্ত্রোপচার করে (সিজার অপারেশনের মাধ্যমে) বাচ্চা বের করার সিদ্ধান্ত নিলাম। পরে অল্প আলোতেই টানা চার ঘন্টা চেষ্টার পর সিজার সম্পন্ন হলো গাভীটির।’
তিনি বলেন, ‘বাচ্চাটি আগেই মরে যাওয়াতে গাভীর নানা সমস্যা হচ্ছিল। এ অবস্থায় গাভী মারা যাবার সম্ভাবনাই বেশি ছিলো।’
উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রাজিব দাস বলেন, ‘আমরা পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও ঔষুধ ব্যবহার করেছি। সঠিক হিসাব না দিতে পারলেও গর্ভে বাচ্চা মারা যাওয়ায় বা উলটে যাওয়ায় গাভীসহ মারা যাবার সংখ্যা অনেক।
এরকম সিজার ‘কাইসারিয়ান সেকশন’ করে প্রসবকালীন পশুর মৃত্যুরোধ করা সম্ভব। কিন্তু পশুর মালিকরা পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার (অপারেশন পরবর্তী যত্ম) নিতে দক্ষ নয়। যে কারণে চিকিৎসকরা এ পদ্ধতি এড়াতে চান।’