জেনে নিন ফেরদৌসের প্রথম পারিশ্রমিকের টাকায় কী করেছিলেন এবং তা কত ছিল?
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদ। তাঁর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র বুকের ভিতর আগুন, এটি পরিচালনা করেছেন ছটকু আহমেদ। পাশাপাশি তিনি কলকাতার চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন নিয়মিত। কলকাতার খ্যাতিমান পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবি দিয়েই আলোচনায় আসেন তিনি। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পায় এটি। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কিন্তু জানেন কি ফেরদৌস মিডিয়ায় এসেছিলেন মডেল হিসেবে।
ফেরদৌস বলেন, ১৯৯৫ সালে আমি প্রথম বিবি রাসেলের কোরিওগ্রাফিতে র্যাম্পে হেটে ছিলাম। আর পরিশ্রমিক পেয়েছিলাম খুব সম্ভবত দুই হাজার টাকা। টাকাটা পেয়ে মাকে আমি দিয়েছিলাম। শুধু প্রথম পারিশ্রমিক নয় শুরুর দিকে সব কাজের পারিশ্রমিক আমি আমার বাবা-মাকে দিয়েছি। তারা টাকাগুলো আমার জন্য জমিয়ে রাখতেন। আমার জমানো টাকা দিয়ে ঢাকার উত্তরায় আমার জন্য তারা একটা জমিও কিনেছিলেন। কয়েক লাখ টাকা দিয়ে তারা জমিটা কিনেছিলেন এখন সেই জমির দাম কয়েক কোটি টাকা। এটা বাবা-মার কাছ থেকে পাওয়া আমরা আশীর্বাদ।হঠাৎ বৃষ্টি
অভিনেতা হিসেবে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ভূষিত হয়েছেন ফেরদৌস। প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পান ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র জন্য।
ফেরদৌস আরও বলেন, এই ছবিতে তার পারিশ্রমিক কত ছিল? ফেরদৌস বলেন, অন্য ছবির শুটিং আগে করলেও প্রথম মুক্তি পেয়েছে আমার অভিনীত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। ছবিতে আমার পারিশ্রমিক ছিল এক লাখ টাকা। ছবির জন্য প্রথমে আমাকে ৭৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। শুটিং শেষে দেওয়া হয় আরো ২৫ হাজার টাকা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পে তাঁর অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেতার পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এগুলো হচ্ছে হঠাৎ বৃষ্টি (১৯৯৮), গঙ্গাযাত্রা (২০০৯), কুসুম কুসুম প্রেম (২০১১), ও এক কাপ চা (২০১৪)।
ফেরদৌস অভিনীত সফল চলচ্চিত্রের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি (১৯৯৮), চুপি চুপি (২০০১), প্রেমের জ্বালা (২০০২), বউ-শাশুড়ির যুদ্ধ (২০০৩), চন্দ্রকথা (২০০৩), ফুলের মত বউ (২০০৪), দুই নয়নের আলো (২০০৫), খায়রুন সুন্দরী (২০০৭), গোলাপী এখন বিলাতে (২০১০), গেরিলা (২০১১) অন্যতম।