মাত্র ৩ দিনে ১০ পাউন্ড ওজন কমানোর একটি বিশেষ ডায়েট!
ওজন কমানোর এই ডায়েটে একেবারে বাঁধাধরা মেনু আপনাকে অনুসরণ করতে হবে। এই তিন দিনে আপনার মেটাবলিজম ভালো হবে, ফ্যাট বার্ন হবে এবং এনার্জিও বাড়বে। এতে ১০ পাউন্ড বা সাড়ে চার কেজি ওজন কমতে পারে। তিন দিনের পর এই ডায়েট বন্ধ করে স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করতে হবে। এরপর আবার তিন দিনের এই ডায়েট অনুসরণ করা যাবে।
প্রথম দিন –
সকালের নাস্তা –
– ১ স্লাইস পাউরুটির টোস্ট
– ২ টেবিল চামচ পিনাট বাটার
– অর্ধেকটা গ্রেপফ্রুট (এটা কিন্তু আঙ্গুর নয়)
– ১ কাপ চা অথবা কফি (চিনি ও দুধ ছাড়া)
দুপুরের খাবার –
– ১ স্লাইস পাউরুটির টোস্ট
– আধা কাপ টুনা মাছ
– এক কাপ চা অথবা কফি (চিনি ও দুধ ছাড়া)
রাতের খাবার –
– ১ কাপ গ্রিন বিন (অথবা টমেটো)
– ৩ আউন্স বা ৮৫ গ্রাম যে কোন মাংস
– ১টা ছোট আপেল
– অর্ধেকটা কলা
– ১ কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম
দ্বিতীয় দিন :
সকালের নাস্তা –
– ১ স্লাইস পাউরুটির টোস্ট
– ১টা ডিম
– অর্ধেকটা কলা
দুপুরের খাবার –
– একটা সেদ্ধ ডিম
– এক কাপ কটেজ চিজ
– ৫টা নোনতা ক্র্যাকার বিস্কিট (প্রতিটা বিস্কিট মোটামুটি ১৩ ক্যালোরি)
রাতের খাবার –
– ২টা সসেজ (২৫০-৩০০ ক্যালোরি)
– আধা কাপ গাজর
– ১ কাপ ব্রকোলি
– অর্ধেকটা কলা
– আধা কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম
তৃতীয় দিন :
সকালের নাস্তা –
– ১ স্লাইস চেডার চিজ
– ৫টা নোনতা ক্র্যাকার বিস্কিট
– ১টা ছোট আপেল
দুপুরের খাবার –
– ১ স্লাইস পাউরুটির টোস্ট
– ১টা সেদ্ধ ডিম
রাতের খাবার –
– ১ কাপ টুনা মাছ
– অর্ধেকটা কলা
– ১ কাপ ভ্যানিলা আইসক্রিম
ব্যায়াম :
এগুলো খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে যতটুকু সম্ভব। ব্যায়ামের ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম নেই এই ডায়েটে। তবে কতটুকু এক্সারসাইজ করবেন তার ব্যাপারে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেওয়া ভালো। এই ডায়েট অনুসরণ করার আগেও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। কারণ কারও যদি হৃদরোগ বা ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা থাকে তাহলে তাদের এই ডায়েট অনুসরণ না করাই ভালো।
এই ডায়েটের মূল ব্যাপারটা হলো ক্যালোরি। কমবেশি ২০০০ ক্যালোরির ডায়েট অনুসরণ করা উচিৎ সবারই। কিন্তু এই ডায়েটে দৈনিক ১০০০ ক্যালোরি খাবার খাওয়ার ফলেই দ্রুত ওজন কমানো weight loss সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে এই ডায়েট চার্টের একটি খাবার বাদ দিয়ে আরেকটি খাবার খেতে হলে খেয়াল রাখুন একই ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন কি না। দেখে নিন কোন খাবারের বদলে কোন খাবার খেতে পারেন-
– পিনাট বাটারের পরিবর্তে খেতে পারেন আমন্ড বাটার
– মাংসের পরিবর্তে খেতে পারেন সমান ক্যালোরির টোফু, শিমের বিচি অথবা ডাল
– গাজরের পরিবর্তে খেতে পারেন বিট অথবা ক্যাপসিকাম
– ব্রকোলির বদলে খেতে পারেন পালং শাক, ফুলকপি অথবা বাঁধাকপি
– কটেজ বা চেডার চিজের বদলে খেতে পারেন একই ক্যালোরির ডিম, দুধ, গ্রিক ইয়োগার্ট বা টোফু
– ভ্যানিলা আইসক্রিমের বদলে খেতে পারেন এক কাপ দই বা আপেলের জুস
– ক্র্যাকার বিস্কিটের বদলে একই ক্যালোরির অন্য কোন বিস্কিট বা রুটি খেতে পারেন
– টুনার বদলে একই ক্যালোরির অন্য কোন মাছ খেতে পারেন
– টোস্টের বদলে খেতে পারেন আধা কাপ হোল গ্রেইন সিরিয়াল
– অনেকে ভাবেন গ্রেপফ্রুটের বদলে কমলা খাওয়া যাবে কিন্তু তা ঠিক নয়, গ্রেপফ্রুটের বদলে এক গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা গুলে খেতে পারেন
এই ডায়েট অনুসরণ করার আগে অবশ্যই কোন নিউট্রিশনিস্ট বা ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেবেন। কারণ কম সময়ে ডায়েট করে ওজন কমানোর চাইতে স্বাস্থ্যকর খাদ্যভ্যাস বজায় রেখে ধীরে ধীরে ওজন নিয়ন্ত্রণ করাই সবচাইতে ভালো উপায়।