বাবার মতো প্রাণ দিলেন মনোয়ারও
দেশের শান্তিরক্ষায় কাজ করতে গিয়ে ঢাকার লালবাগে সন্ত্রাসীদের গুলিতে প্রাণ দিয়েছিলেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম। এবার বিশ্ব শান্তিরক্ষায় কাজ করতে গিয়ে প্রাণ দিলেন তাঁর সৈনিক ছেলে মনোয়ার হোসেন।
দুজনই শান্তির পথের যোদ্ধা হয়ে শহীদ হলেন। গত রবিবার আফ্রিকার মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের হামলায় মনোয়ারের মৃত্যু হয়। বাবা রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে যে দুর্যোগ নেমে এসেছিল পরিবারটিতে, এবার একই বিপর্যয় নেমে এলো মনোয়ারের স্ত্রী-সন্তানদের ওপর। পরিবারটিতে এখন চলছে শুধু আহাজারি। বাবার মতো ছেলেরও একই পরিণতিতে পরিবারটিকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে কেউ।
নিহত মনোয়ার বরিশাল নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের হরিপাশা এলাকার বাসিন্দা। এখানেই একটি বাসায় বিধবা মা ও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মনোয়ারের পরিবার বসবাস করছে। তাঁদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলার চন্দ্রমোহন গ্রামে। মনোয়ার সেনাবাহিনীর যশোর ক্যান্টনমেন্টে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন।
চলতি বছরের ৩০ মে তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মালিতে যান। তাঁর সাত ও দেড় বছরের দুই সন্তান রয়েছে।
গতকাল সোমবার ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সাত বছরের ইলমুন ও দেড় বছরের তাসনিম নামের দুই শিশুসন্তান বাবা হারানোর বেদনা উপলব্ধি করতে না পারলেও বাড়িতে থাকা মা রওশন আরা বেগম এবং স্ত্রী ইভা আক্তার শোকের সাগরে নিমজ্জিত। তাঁদের বিলাপে আশপাশের এলাকা শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। কোনো সান্ত্বনাই তাঁদের আশ্বস্ত করতে পারছে না।
সূত্র: কালেরকন্ঠ