175361

বিয়ে হলেও যেসকল তারকাদের কোন সন্তান নেই

তারকাদের বিয়ে নিয়ে লুকোছাপার শেষ নেই, রয়েছে মাতৃত্ব নিয়েও। বিয়ে হলে বা মাতৃত্বের স্বাদ পেলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কমে যায় এমন ধারণা প্রচলিত আছে শোবিজ অঙ্গনে। তাই অনেকে বিয়ে কিংবা মাতৃত্বের খবর গোপন করে যান মিডিয়ায়।

আবার কিছু অভিনেত্রী রয়েছেন, যারা ক্যারিয়ারের কথা ভেবে স্বেচ্ছায় এড়িয়ে যান মাতৃত্বকে।কেউ কেউ রয়েছেন যারা চেষ্টা করেও মাতৃত্বের স্বাদ পাননি। এমন কিছু অভিনেত্রীর খবর জানাই আজ।

সুবর্ণা মুস্তাফা
নাট্যমঞ্চে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে পরিচয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী ও সুবর্ণা মুস্তাফার। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ফরিদী তার প্রথম স্ত্রী মিনুর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে ১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী সুর্বনা মুস্তফাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন।

২০০৮ সালে হুট করেই সুবর্ণা ডিভোর্স দেন হুমায়ুন ফরিদীকে। তাদের ঘরে কোনো সন্তান নেই। বিচ্ছেদের পর হুমায়ূন ফরিদী আর সংসারের পথ না মাড়ালেও নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন সুবর্ণা।

নিজের চাইতে ১৪ বছরের ছোট সৌদের ঘরেও মাতৃত্বের স্বাদ পাননি এ অভিনেত্রী।তাঁদের সংসারের বয়সও কম হলো না।

শমী কায়সার
অনেকদিন পর এ বছর ঈদের নাটকে দেখা গেল এই অভিনেত্রীকে। লাস্যময়ী এ অভিনেত্রী এখন পর্যন্ত মাতৃত্বের স্বাদ পাননি। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী।

বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। পরে তিনি পারিবারিক ভাবে বিয়ে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ এ আরাফাতকে। সে বিয়েরও নয় বছর পেরিয়ে গেল। কিন্তু এখনো মা হতে পারেননি শমী। তবে দুজনার সংসার নাকি বেশ ভালোই চলছে।

আফসানা মিমি
অনেক দিন তিনি পর্দায় ছিলেন না। এবছর ঈদের নাটকে দেখা গেছে তাকে। তবে অভিনয়েরে চেয়ে তিনি পরিচালনায় ব্যস্ত সময় পার করেন। একটি নাট্যদলে কাজ করতে গিয়ে আফসানা মিমির পরিচয় হয় নির্মাতা-অভিনেতা গাজী রাকায়েতের সঙ্গে।

পরিচয়ের পর সখ্য। সময়ের ব্যবধানে সেই সখ্য গড়ায় প্রেমে। অতঃপর বিয়ে। কিন্তু বিয়েটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের। দীর্ঘদিন সংসার করলেও মাতৃত্বের স্বাদ পাননি মিমি। রাকায়াত আবার সংসারী হলেও, মিমি আর বিয়ে করেননি।

জয়া আহসান
মা হয়ে এখন পর্যন্ত কম চরিত্র করেননি। সর্বশেষ ‘ভালবাসার শহর’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে মায়ের মমতায় কাঁদিয়েছেন দর্শকদের। কিন্তু বাস্তবে কখনো মাতৃত্বের স্বাধ পাননি এ অভিনেত্রী। এক সময়ের জনপ্রিয় মডেল ফয়সাল আহসানকে বিয়ে করে নিজের নামের সঙ্গে আহসান পদবি লাগান।

বেশ কিছু বছর আগে তাদের ডিভোর্স হলেও আহসান পদবি ছাড়েননি। ফয়সালকে বিয়ে করার আগে জয়া একজন বিনোদন সাংবাদিককে বিয়ে করেছিলেন। জয়া দুবার সংসার করেও মা হতে পারেননি। তবে তাঁর কাছের মানুষের সুবাদে জানা যায়, জয়ার নাকি মা হওয়ার প্রবল ইচ্ছা ছিল।

দুর্ভাগ্যবশত তার সে স্বপ্ন পূরণ হয়নি। জয়া কী আবারো বিয়ের পিড়িতে বসবেন ? সে প্রশ্ন শোবিজে চলমান। নানা সময়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও সত্যতা মেলেনি নতুন বিয়ের।

তাজিন আহমেদ
এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন প্রথম বিয়ে করেছিলেন পরিচালক এজাজ মুন্নাকে। সে সংসার টেকেনি। সংসারটা নাকি কখনোই সুখের ছিল না। নানা অভিযোগ এনে বিয়ে ভাঙ্গেন তাজিন। তাঁর কিছুদিন পর দ্বিতীয় বিয়ের পিড়িতে বসেন এ অভিনেত্রী। দ্বিতীয় বর মিউজিশিয়ান রুমী রহমান। কিন্তু কোনো সংসারেই মা হতে পারেননি তাজিন।

রুমানা
রুমানা প্রথম সংসার গড়েছিলেন উপস্থাপক আনজাম মাসুদের সঙ্গে। প্রেমের সে বিয়ে কোনো সুখবর দিতে পারেনি। দু:খ দিয়ে একটা সময় আলাদা হয়ে যান তাঁরা। আনজামকে ছেড়ে রুমানা বিয়ে করেন ব্যবসায়ী সাজ্জাদকে। দ্বিতীয় সংসারও দিতে পারেনি কোনো সন্তান। সে সংসারও টিকলো না।

তৃতীয়বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসেন মার্কিন নাগরিক ব্যবসায়ী এলিন রহমানের সঙ্গে। সে বিয়ের দু বছর হয়ে গেছে। রুমানা বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে প্রবাসে আছেন। খবর পাওয়া যায় দিন ভালোই কাটছে। তবে নতুন সদস্যের আগমনের খবরও হয়নি।

তানভিন সুইটি
র‌্যাম্প, মডেলিং, বিজ্ঞাপনের মডেলিং ছাড়াও অভিনয়ে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন সুইটি। অভিনেতা ও নাট্য প্রযোজক রিপনের সঙ্গে সংসার জীবনের প্রায় দেড়যুগ হয়ে গেল। সে সংসারে এখনো পর্যন্ত সন্তানের মুখ দেখেননি সুইটি। তবে রিপন-সুইটির সংসার সুখেই চলছে।

অপি করিম
অপি করিমের সংসার ভাগ্য মোটেও ভাল না। অভিনয়ে তিনি যতটা সফল, সংসারে ততটাই বিফল। তিনবার বিয়ের পিড়িতে বসেন এ অভিনেত্রী। প্রথমে পারিবারিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন জাপান প্রবাসী আশিরের সঙ্গে।

বছর না গড়াতেই সে সংসার ভেঙ্গে যায়। প্রেম করে বিয়ে করেন নাট্য নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জলকে। আবারও বিচ্ছেদের সুর। গত বছর আবারও গাঁটছড়া বাঁধলেন নির্মাতা ও প্রকৌশলী এনামূল করিম নির্ঝরের সঙ্গে। তিন সংসারে অপি মা হতে পারেননি।

তারিন
অভিনেত্রী তারিন কী বিবাহিত? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই আসে। তবে শোবিজের যারা একটু খোঁজ খবর রাখে তাঁরা জানেন তিনি বিবাহিত। চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছেলে অভিনেতা ও পরিচালক সোহেল আরমানের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন অভিনেত্রী তারিন।

বাবা-মায়ের অজান্তে পালিয়ে গিয়ে ২০০১ সালে তারিন বিয়ে করেন সোহেলকে। ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও পরে জানাজানি হয়ে যায়। সে বিয়ে খুব আলোচিত হয়। তার চেয়েও দ্বিগুন আলোচিত হয় বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই দম্পতির সংসারে ভাঙন। পরে আর বিয়ের পিড়িতে বসেননি এই অভিনেত্রী। তেমনি মাতৃত্বের স্বাধও তিনি পাননি।

ad

পাঠকের মতামত