175130

রোহিঙ্গাদের ভোটার করলে ১০ বছরের জেল

রোহিঙ্গা অথবা বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন ব্যক্তিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদে অন্তর্ভুক্ত করলে তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে , বিদেশী নাগরিকদের ভোটার করা অথবা এ কাজে সহযোগিতা করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করবে কমিশন। সে লক্ষ্যে ১০ বছর জেল ও নগদ জরিমানার বিধান রেখে নতুন আইন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ইসি।

কমিশন বৈঠকে অনুমোদন পেলে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। এতদিন অবৈধভাবে বিদেশী নাগরিকদের ভোটার করলে ঐ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হত। শাস্তির বিধান ছিল অনেক কম। অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশের ভোটার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বিভিন্ন সময় ।

এসব বিষয়ে সচিব হেলাল উদ্দীন বলেন, রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়ার বিষয়ে বিশেষ এলাকা আছে। বিশেষ এলাকা এর আগে ২০টি উপজেলা ছিল। এবার আরো ১০টি এলাকা চিহ্নিত করেছি। এই ৩০টি এলাকার জন্য বিশেষ কমিটি রয়েছে। বিশেষ এলাকার যে কার্য পরিধি আছে সেখানেও নির্ধারিত করা আছে কি কি বিষয় তারা দেখবেন।

কোন বিদেশি ভোটার যাতে অন্তর্ভুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে তারা পদক্ষেপ নিতে পারেন, চেক দিতে পারেন। কিভাবে চেকটা দেবে তারও নির্দেশনা দেওয়া আছে। তার বাবা-মার আইডি দেখবে, ফুফু-চাচার আইডি দেখবে, এছাড়া আরো অন্যান্য পদক্ষেপ আছে সেগুলো পদক্ষেপ নিয়ে কমিটি যদি নিশ্চয়তা প্রদান করে সেক্ষেত্রে বিদেশ আগত কোনো লোক ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না।

ভোটার তালিকায় বিদেশি ঠেকাতে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত চার জেলার ৩০টি উপজেলাকে পাখির চোখ করেছে ইসি। এসব বিশেষ এলাকার মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৮টি, বান্দরবানের ৭টি, রাঙামাটির ৮ ও চট্টগ্রামের ৭টি উপজেলা রয়েছে।

উপজেলাগুলো হলো- কক্সবাজার সদর, চকোরিয়া, টেকনাফ, রামু, পেকুয়া, উখিয়া, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া। বান্দরবান সদর, রুমা, থানচি, বোয়াংছড়ি, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি। রাঙামাটি সদর, লংগদু, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, কাপ্তাই, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বরকল। চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, পটিয়া, আনোয়ারা, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও বাঁশখালী।

বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটি:

বিশেষ এলাকার বিশেষ কমিটির ১৪ জন সদস্য হলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), হেড ম্যান (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে), কারবারি (পার্বত্য জেলার ক্ষেত্রে) ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ

ad

পাঠকের মতামত