
‘বাবার সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছি’
সংবাদ সম্মেলন ডেকে হানিপ্রীতের প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত জানিয়েছেন, তিনি ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিমের সঙ্গে নিজের স্ত্রীকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছেন। শুক্রবার তিনি যখন এই কথা বলছিলেন, তখনও তার চোখেমুখে অজানা শঙ্কা। এর কারণও জানালেন বিশ্বাস গুপ্ত, ‘এই যে আপনারা আমাকে দেখলেন, এর পরে আর দেখবেন কি না জানি না।’
তিনি বলেন, ‘গুরমিত রাম রহিম সিংহের বিশাল ক্ষমতা। তা যতই লোকটা জেলে থাকুক না কেন।’
ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধানের দত্তক কন্যা হানিপ্রীত ইনসানের প্রাক্তন স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাবা-মেয়ের সম্পর্ক আসলে ভাঁওতা। গুরমিতের সঙ্গে একই বিছানায় শুত হানিপ্রীত। ওদের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। আমি ‘বাবা’র সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখেছি।’
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, সিরসায় ডেরা-সাম্রাজ্যে ‘বাবার গুফা’য় কী ধরনের কাজকর্ম চলত, তা নিয়ে নানা কথা শোনা গিয়েছে গুরমিত জেলে যাওয়ার পরে।
বিশ্বাস গুপ্ত দাবি করেন, ‘ওই গুফাতেই তিনি এবং হানিপ্রীতসহ ছ’জোড়া ছেলেমেয়েকে কাটাতে হয়েছিল ২৮ দিন।’
কিন্তু কেন? জবাবে তিনি বলেন, ‘কারণ, ‘বাবা’ তখন টিভির রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’র আদলে নিজের গুফায় একই ধরনের একটি খেলা চালু করেছিল। ওই ১২ জন ছিলেন প্রতিযোগী।’
বিশ্বাস গুপ্তের ভাষায়, এই ‘খেলার’ সময়টুকু বাদ দিলে গুরমিতের গুফায় তার বিশেষ প্রবেশাধিকার ছিল না। বরং হানিপ্রীত যখন গুরমিতের ঘরে যেতেন, তখন তাকে বার করে দেয়া হতো। আর হুমকি দেয়া হতো মুখ বন্ধ রাখার জন্য।
বিশ্বাস গুপ্ত বলেন, ‘গুরমিত আমাকে খুন করার নির্দেশ দিয়েছিল। হানিপ্রীতকে মোটেই আইনি পথে দত্তক নেয়া হয়নি। বরং ২০০৯ থেকে হানিপ্রীতই ছিল বকলমে গুরমিতের বৌ।’
দু’জনের অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ এনেই ২০১১ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন বিশ্বাস। ডেরা থেকে চলে আসেন পঞ্চকুলার সেক্টর ১৫-র বাড়িতে।
বিশ্বাসের অভিযোগ, এর পরেও তার উপরে সর্বক্ষণ নজর রাখত গুরমিতের লোকেরা। শেষ পর্যন্ত পণের ‘ভুয়ো’ মামলায় জড়িয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছিল তাকে।
উল্লেখ্য, গুরমিত রাম রহিম ডেরার সাধ্বীকে ধর্ষণের মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে বর্তমানে রোহতকের কারাগারে রয়েছেন।