এএসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ-ভিডিও ধারণের অভিযোগ
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু নামে পুলিশের এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফের ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলাও নেয়নি ঘাটাইল থানা পুলিশ।
শুক্রবার বিকালে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে ওই গৃহবধূ এসব অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, একই গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু দীর্ঘ দিন ধরে তাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। স্বামী বিদেশ থাকায় তিনি এক মাত্র ছেলেকে (১৩) নিয়ে থাকতেন। এই সুযোগে মিন্টু বাড়িতে এসে বিভিন্ন সময় অবৈধ সম্পর্ক গড়ার চেষ্টা করতো।
নির্যাতিতা বলেন, ‘প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ জুন রাত ৮টার দিকে মিন্টু আমার ঘরে এসে মুখ চেপে ধরে ধারালো অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ভিডিও করে সে। বিষয়টি প্রকাশ করলে ওই ভিডিও ইন্টানেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।’
এরপর ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মিন্টু পুনরায় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে গৃহবধূ আরো বলেন, মান-সম্মানের ভয়ে ওই ধর্ষণের বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ না হওয়ায় আরো উগ্র হয়ে ওঠে ওই ধর্ষক পুলিশ কর্মকর্তা। ধর্ষকের ব্ল্যাকমেইলে অতিষ্ট হয়ে ওঠেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এরই মধ্যে গৃহবধূর স্বামী জয়নাল আবেদীন দেশে ফিরে আসেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মিন্টু পুনরায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি ডাক-চিৎকার শুরু করেন। এ সময় প্রতিবেশী ও বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাসহ নানা ধরনের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি প্রবাসীর স্ত্রী পরিবারকে খুলে বলেন এবং বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করতে যান। তবে এ ঘটনায় পুলিশের কর্মকর্তা জড়িত থাকায় থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন গৃহবধূ।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানান নির্যাতিতা।
অভিযুক্ত এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু বর্তমানে সিলেটে মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত। তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জানতে চাইলে ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন বলেন, ‘এএসআই মিনহাজ উদ্দিন মিন্টুর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। মামলাটি রজুর প্রক্রিয়া চলছে।’