মেক্সিকোতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২৬
মেক্সিকোর মধ্যাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে অন্তত ২২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, ধসে পড়েছে রাজধানী মেক্সিকো সিটির কয়েক ডজন দালান। মঙ্গলবার দুপুরে ৭ দশমিক ১ মাত্রার এই ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে মোরেলাস ও পুয়েবলা রাজ্যে। বিভিন্ন স্থানে গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; কয়েকটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডেরও খবর এসেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এর মধ্যে কোয়াপা এলাকায় একটি স্কুল ধসে পড়ে ২০টি শিশুসহ অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে; ৩০টি শিশুসহ ৪২ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স বিভাগের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ২২৬ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। এর মধ্যে মেক্সিকো সিটিতে মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জন। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মেক্সিকো সিটি থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে পুয়েবলা রাজ্যের আতেনসিঙ্গো এলাকায়। কেন্দ্র ছিল ভূ-পৃষ্ঠের ৫১ কিলোমিটার গভীরে। বিবিসির খবেরে বলা হয়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা ১টার পরপর এই ভূমিকম্পে সব কিছু কাঁপতে শুরু করলে মানুষ আতঙ্কে রাস্তার বেরিয়ে আসে।
ড্যানিয়েল লিবারসন নামের এক পর্যটক জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি ছিলেন একটি হোটেলের ২৬ তলায়। পুরো ভবন তখন এপাশ-ওপাশ দুলছিল।
ভেঙে পড়ছিল জানালর কাচ। মাত্র আধা মিনিটের ভূমিকম্প; আমার মনে হচ্ছিল যে সারা জীবন ধরে চলছে। টেলিভিশনে আসা ছবিতে দেখা যায়, রাজধানীতে একটি বহুতল ভবনের মাঝের একটি ফ্লোর ধসে গেছে, সেখানে ছুটে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সরকারি ভবনের এক পাশ রাস্তায় পড়ছে এবং পথচারীরা চিৎকার করছেন।
মেক্সিকো সিটির দক্ষিণ দিকের শহর কুয়েরনাভাকায় ধসে পড়া ভবনের নিচে অনেকে চাপা পড়েছেন বলে স্থানীয় রেডিওর সংবাদে বলা হয়। ১৯৮৫ সালের এই দিনেই আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল মেক্সিকোতে। উত্তর আমেরিকার ভূমিকম্পপ্রবণ এই দেশের দক্ষিণাঞ্চলে চলতি মাসের শুরুতেই আরেকটি বড় ধরনের ভূমিকম্প হয়। ৮ দশমিক ১ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে নিহত হয় অন্তত ৯০ জন।