দিনের পর দিন ছেলের যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে মায়ের নৃশংসতা
দিনের পর দিন ছেলের হাতে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক মা। তাই নিজেকে বাঁচাতে আর কোনো উপায় না পেয়ে ‘ধর্ষক’ ছেলেকে খুন করালেন তিনি।
সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ে। আগের পক্ষের ছেলে সীতারামকে (২৫) ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছোট ছেলে রামচরণ দ্বিবেদীকে (২২) খুন করিয়েছেন ৫৫ বছরের রজনী দেবী।
২১ আগস্ট রামচরণের দেহ পচাগলা অবস্থায় পাওয়া যায় ভাসাইয়ের একটি জলাশয়ে। ভালিভ পুলিশ দেহ উদ্ধার করে দেখে যে দেহের ঘাড়ে কোপানোর দাগ রয়েছে। এরপরই খুনের মামলা দাখিল করে তদন্ত শুরু করে তারা।
দেহটির হাতে উল্কি করে রামচরণ ও রজনী লেখা ছিল। দেহটির ছবি পালঘর, থানে, মুম্বাই ও নবী মুম্বাই এলাকায় ছড়িয়ে দিয়ে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করে পুলিশ।
প্রায় একমাস পরে এক মহিলা রামচরণকে শনাক্ত করেন। এরপর পুলিশ রামচরণের বাড়িতে গিয়ে রজনীকে দেখে অবাক হয়ে যায়। কিছুদিন আগে রজনী রামচরণের দেহ দেখলেও সেই যে তার ছেলে তা চিনতে অস্বীকার করেছেন।
তিনি পুলিশকে জানিয়েছিলেন যে, ১৯ অগাস্ট তার ছেলে রামচরণ বাড়ি ছেড়ে বেরলোও আর ফেরেননি। সে মাঝেমাঝেই কিছু না বলে অন্যত্র কাজে চলে যেত বলে রজনী মিসিং ডায়েরিও করেননি বলে জানান।
তবে কথাবার্তায় অসঙ্গতি থাকায় পুলিশ রজনীকে চেপে ধরে। তখনই চাপের মুখে সব কথা স্বীকার করে নেন তিনি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রজনী জানান, নিয়মিত তাকে যৌন হয়রানি করত তার ছেলে রামচরণ। বাবা রামদাসকে যাতে এ বিষয়ে কিছু না জানানো হয়, সে জন্য হুমকিও দিত।
বছর দুয়েক আগে রামচরণ তার সত্ মাকেও দেশের বাড়ি থেকে শহরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিল বলে জানায় রজনী। এছাড়াও তাদের এক মহিলা আত্মীয়ও নাকি রামচরণের লালসার শিকার হয়।
যৌন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি তার প্রথম পক্ষের স্বামীর ছেলে সীতারামকে দিয়ে রামচরণকে খুন করান বলে জানান রজনী।