174885

জানেন, কীসের প্রয়োজনে শরীর বিক্রি করতে চান এই সুন্দরী ছাত্রীরা?

নিজের খরচ মেটাতে ছাত্রী ছাত্রীরা কি ধরণের কাজ করেন শুনলে আঁকতে উঠবেন আপনি৷ সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, ছাত্র ছাত্রীরা থাকা-খাওয়া আর পড়ার খরচ মেটাতে শরীর বিক্রি করছেন৷ ওয়্লেসের স্বানসি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে করা এক গবেষণায় আশ্চর্যজনক পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে৷ সার্ভে রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত প্রতি ২০ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে একজন শারীরিক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত৷

সুডেন্ট ওয়ার্ক প্রজোক্টের রিপোর্টে প্রকাশ্যে এসেছে মেয়েদের থেকে ছেলেরা এই ধরণের কাজের সঙ্গে বেশি সংখ্যায় যুক্ত৷ জানা গিয়েছে, পড়ুয়ারা শারীরিক ব্যবসা ছাড়াও ইন্টারনেটে সেক্ট চ্যাটের মাধ্যমেও রোজগার করে৷

মিররে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এই সার্ভের প্রধান গবেষক ডা. ট্রেসি সাগর জানিয়েছেন এই বিষয়ে তার কাছে প্রমাণ রয়েছে৷ ইউনাইটেড কিংডমের ছাত্রছাত্রীরা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত৷ তবে এদের মধ্যে বেশিরভাগই এই পেশা লুকিয়ে রাখেন ও কাউকে এ বিষয়ে কিছু জানান না৷ গবেষক আরও জানিয়েছেন, এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছাত্রছাত্রীরা একেবারেই সুরক্ষিত নন, এমনকি তারা নিজেদের সুরক্ষিত মনেও করেনা৷

ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে পয়সার অভাবে দেহব্যবসার প্রবৃত্তি বেড়ে যাওয়ায় চিন্তিত বিশ্ববিদ্যালয়ও৷ এই বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি রণনীতি তৈরি করে অভাবের শিকার ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতে চলেছে বিশ্ব বিদ্যালয়৷ বিগ লটারি ফান্ডের তরফ থেকে এক অনুদানে মোট ৬৭৫০ ছাত্রছাত্রীদের সামিল করা হয়েছিল যাদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ ছাত্র ও সাড়ে তিন শতাংশ ছাত্রী স্বীকার করেছেন তারা শারীরিক ব্যবসার মাধ্যমে টাকা উপার্জন করেন৷ যদিও ২২ শতাংশের মতামত তারা এই কাজ করার কথা ভাবছেন৷

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অনেক ছাত্রছাত্রীই বিলাসবহুল জীবনযাপন করার জন্য শারীরিক ব্যবসা করেন৷ অনেকে আবার চাহিদা মেটাতে এই পেশায় নেমেছেন৷ যদিও কিছু ছাত্র ছাত্রীদের মতে তারা এই পেশা থেকে বেড়িয়ে আসতে চান, কিন্তু বর্তমাবনে সেটা সম্ভব হচ্ছে না৷

বিশ্ববিদ্যলায়ের সহযোগি অধ্যাপক ডা. সাগর জানিয়েছেন, এই গবেষণা ছাত্রছাত্রীদের শারীররিক ব্যবসা উৎসাহ দেওয়ার জন্য করা হয়নি৷ এর একমাত্র উদ্দেশ্য তাদের সাহায্য করা যাতে তারা এই পেশা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন৷ তাঁর মতে, শারীরিক ব্যবসা খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এতদিন পর্যন্ত কেবল মহিলারাই এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তবে বর্তমানে এই পেশায় পুরুষের সংখ্যাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে৷

ad

পাঠকের মতামত