‘সেদিন টনি ভাই আর মৌসুমী না থাকলে মারা যেতাম’
একটি নাটক কিংবা চলচ্চিত্র শুটিং শেষে দর্শক তা টেলিভিশন অথবা সিনেমা হলে দেখতে পায়। কিন্তু এই শুটিং করতে গিয়েই কিন্তু নানান ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে তারকাদের মধ্যে। সেইা ঘটনাগুলো কখনও হয় খুব মজার আবার কখনও হয় খুব বেদনার। আবার কখনও কখনও হয় খুব কান্নার। এমনকি প্রাণ চলে যাওয়ার ঘটনাও কিন্তু ঘটেছে।
কিন্তু দর্শক তো শুধু তৈরি নাটক কিংবা চলচ্চিত্রগুলোই দেখতে পান। শুটিংয়ের বাইরের অনেক ঘটনার মধ্যে অভিনেত্রী রুনা খান একটি ঘটনা শেয়ার করলেন সম্প্রতি। যা পাঠক পড়লে হয়তো বুঝবেন একজন অভিনয় শিল্পী তার চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে কতটা কষ্ট করনে।
২০০৮ সালের একটি ঘটনা। একটি নাটকের শুটিং এ নবাবগঞ্জ গিয়েছিল একটি শুটিং দল। যদিও একটি নাটকের শুটিং ছিল সেটা। এতে অভিনয় করেছিলেন অভিনেতা টনি ডায়েস ও অভিনেত্রী মৌসুমী নাগ এবং রুনা খান নিজে। এমনিতেই ঢাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ঢাকার বাইরের শুটিং স্পটে। আর প্রকৃতির কাছে যাওয়া মানে এক অন্য রকম ভালো লাগা বা ভালোবাসা। সেই ভাবনা থেকেই শহর থেকে যাওয়া অভিনয় শিল্পীরা শুটিং এর এক ফাঁকে ইছামতি নদী ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন তিন অভিনয় শিল্পী টনি, মৌসুমী ও রুনা।
তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ইছামতি নদীতে ট্রলার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো। যেই কথা সেই কাজ। ইছামতি নদীতে ট্রলার নিয়ে বেড়িয়ে পড়লেন তারা। কিন্তু নদীর মাঝপথে গিয়ে অভিনেত্রী রুনা খান করে বসলেন এক পাগলামী। আর সেটা হলো তিনি নদীতে ঝাপ দিলেন। অবশ্য ভয় নেই কারণ তিনি সাতার জানেন। কিন্তু ঘটনা ঘটল কিছুক্ষণ পরে। যখন টনি আর মৌসুমী দেখতে পেলেন রুনা নদীতে ডুবে যাচ্ছে তখন তারা ভয়ই পেয়ে গেলেন। রুনাও প্রাণ বাঁচানোর আকুল চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সঙ্গে সঙ্গে অভিনেতা টনি ও মৌসুমী ট্রলার থামিয়ে পরে রুনা খানকে তুলে নিয়ে আসলেন। এবং প্রাণে বাঁচালেন গুনি এই অভিনেত্রীকে।
এরপর ট্রলারে উঠে একটু দম নিয়ে বলতে লাগলেন মূল ঘটনা। তিনি সাঁতার জানলেও ইছামতি নদীতে তখন তুমুল স্রোত। আর সেই স্রোতের কারণে তার সাঁতারেও কোন কাজে দিচ্ছিল না আর তাকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল নদীর স্রোতে। এমনকি কয়েকবার ডুবেও যেতে গিয়েছিলেন। এই বলে তিনি তার কথা শেষ করলেন। ফেসবুকে অবশ্য তার সেই নদীতে পড়া হাসির ছবিটিই এখন দেওয়া আছে তবে তিনি টনি ও মৌসুমীকে ধন্যবাদন দিলেন আরেকবার। তার প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তারা। প্রিয়.কম এর কাছে এই ঘটনা বলে নিজেই হাসলে তিনি।