বিপিএলে খেলোয়াড় কিনতে কোন দলের কতো খরচ
ঢাকা ডায়নামাইটস
এবারের আসরে অন্যতম বড় তাবুটি গড়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে মোট ২৫ জন খেলোয়াড় তাদের। দেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ জন। যার মোট খরচ ২ কোটি ৪ লাখ তাকা। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যবান খেলোয়াড় সাকিবকে দিচ্ছেন নুন্যতম ৫৫ লাখ টাকা। জানা গেছে ভিত্তিমূল্যের চেয়েও বেশি দেওয়া হচ্ছে তাকে। এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত পাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা। তবে ১৪ জন বিদেশি তারকাদের মধ্যে মাত্র ২ জন খেলোয়াড়ের মূল্য প্রকাশ করা হয়েছে। জো ডেনলি ও আকিল হোসেনের সম্মিলিত মূল্য ৪৮ লাখ টাকা। তবে বাকি ১২ জনের দাম প্রকাশ হলে নিঃসন্দেহে তারাই হবে এবারের আসরের সবচেয়ে খরুচে দল। কারণ দলটিতে রয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা, শেন ওয়াটসন, শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আমির, সুনিল নারিনের মতো তারকা ক্রিকেটার।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স
ঢাকার সমান ২৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গড়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সও। এ দলটিতেও দেশি খেলোয়াড়ের সংখ্যা ১১ জন। দলের সবচেয়ে দামি দেশি খেলোয়াড় তামিম ইকবাল। কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন তিনি। জানা গেছে তাকে ভিত্তিমূল্যের চেয়ে বেশি টাকা দিয়েই চিটাগং ভাইকিংস থেকে কেড়ে নিয়েছে ভিক্টোরিয়ান্স। এরপর ২৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন লিটন কুমার দাস ও ইমরুল কায়েস। এ দলটিতেও মাত্র ২ জন বিদেশি খেলোয়াড়ের মূল্য প্রকাশ করা হয়েছে। সলোমান মায়ার ও রুম্মান রইসের মূল্য ৫৬ লাখ টাকা। তবে বাকি খেলোয়াড়ের মূল্য প্রকাশ হলে তারাও হবেন অন্যতম সেরা খরুচে দল।
রাজশাহী কিংস
গত আসরেই প্রথমবারের মতো বিপিএলে যোগ দেয় রাজশাহী কিংস। এবার তারা দেশি খেলোয়াড়দের পেছনে সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে। মোট ১১ জন দেশি খেলোয়াড়ের পেছনে তাদের খরচ ২ কোটি ২০ লাখ টাকা। দলের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড় মুশফিকুর রহীম পাচ্ছেন ৫০ লাখ টাকা। আর মুমিনুল হক পাবেন ২৫ লাখ। এছাড়াও দলটিতে আছেন ১০ জন বিদেশি খেলোয়াড়। তবে এ দলটিও মাত্র দুই জন বিদেশির মূল্য প্রকাশ করেছে। ওসামা মির ও রাজা আলি দারের মূল্য ৩২ লাখ টাকা।
খুলনা টাইটান্স
রাজশাহীর পরেই দেশি খেলোয়াড়দের পেছনে বেশি টাকা ঢেলেছে খুলনা টাইটান্স। অন্যান্য দলের চেয়ে ১জন দেশি খেলোয়াড় বেশিও নিয়েছে তারা। ১২ জন দেশি খেলোয়াড়ের পেছনে তাদের খরচ ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পাচ্ছেন দেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে। এরপর শফিউল ইসলাম আছেন ২৫ লাখ টাকার বিনিময়ে। এ দলটিও মাত্র ২ জন বিদেশির মূল্য প্রকাশ করেছে। শিহান জয়াসুরিয়া ও জফরা আর্চারের মূল্য ৩২ লাখ টাকা। দলটিতে মোট ১৩ জন বিদেশি খেলোয়াড় রয়েছে। ফলে ঢাকা ও কুমিল্লার মতোই দলটিতে রয়েছে মোট ২৫ জন খেলোয়াড়।
রংপুর রাইডার্স
দেশি খেলোয়াড়দের পেছনে খুলনার সমান ২ কোটি ১৮ লক্ষ টাকা খরচ করেছে রংপুর রাইডার্সও। এমনকি খুলনার মতো ১জন বেশি দেশি খেলোয়াড় নিয়েছে। মোট ১২ জন দেশি খেলোয়াড়ের পেছনে তাদের খরচ ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। দলের আইকন খেলোয়াড় মাশরাফি বিন মুর্তজা সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড়। পাচ্ছেন ৫০ লাখ টাকা। আর ২৫ লাখ টাকা করে পাচ্ছেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রুবেল হোসেন। তবে দলটি ৩ জন বিদেশি ক্রিকেটারের মূল্য প্রকাশ করেছে। স্যাম হেইন, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি ও জহির খানের মূল্য ৪৪ লাখ টাকা। দলটিতে মোট বিদেশির সংখ্যা ১১ জন।
চিটাগং ভাইকিংস
এবারের আসরের সবচেয়ে কম বাজেটের দলটিই গড়েছে চিটাগং ভাইকিংস। তাই স্বাভাবিক ভাবেই দেশি খেলোয়াড়দের পেছনে সবচেয়ে কম ব্যয় করেছে তারা। ১১ জন দেশি খেলোয়াড়দের পেছনে তাদের মোট খরচ ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। সবচেয়ে মূল্যবান দেশি খেলোয়াড় সৌম্য সরকারের মূল্য ৪০ লাখ টাকা। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক বিজয় পাচ্ছেন ২৫ লাখ টাকা করে। বিদেশি খেলোয়াড়ও তাদের দলেই সবচেয়ে কম। ৯ জন বিদেশির মধ্যে মূল্য প্রকাশ করেছে ২ জনের। নাজিবুল্লাহ জাদরান ও লুইস রিসের মূল্য ২৪ লাখ টাকা।
সিলেট সিক্সার্স
নবাগত দল সিলেট সিক্সার্স দেশি খেলোয়াড়দের পেছনে খরচ করেছে ২ কোটি ৩ লাখ টাকা। দেশি বিদেশি মিলিয়ে দলটিতে খেলোয়াড় আছেন ২৪ জন। এর মধ্যে ১৩ জন বিদেশি। তবে মূল্য প্রকাশ করেছেন মাত্র ২ জনের। চতুরঙ্গা ডি সিলভা ও গোলাম মুদাসসির খানের মূল্য ৩২ লাখ টাকা। দলটিতে সর্বোচ্চ মূল্যবান দেশি খেলোয়াড় সাব্বির রহমান। ৪০ লাখ টাকা পাচ্ছেন তিনি। এরপর আছেন নাসির হোসেন। তার মূল্য ২৫ লাখ টাকা।