
জেলে গিয়ে ৩ বছরে একশো ধর্ষকের সঙ্গে কথা বলে কী উপলব্ধি হল এই গবেষক তরুণীর?
তাঁর গবেষণার জন্যে গত তিন বছরে তিনি ভারতের বিভিন্ন কারাগারে গিয়ে একশো জন ধর্ষণে অভিযুক্তের সঙ্গে কথা বলেছেন। জেনেছেন তাদের ঠিক কী মানসিকতা, কোন পরিবেশে তারা বড় হয়েছে, যার জন্যে এই ঘৃণ্য কাজটি তারা করেছে। এমনকি ধর্ষণ পরবর্তী সময় তাদের মনে কোনও অনুশোচনা এসেছে কিনা, সেই তথ্য উঠে এসেছে মধুমিতার গবেষণায়
আজ থেকে তিন বছর আগে তিহার জেলে গিয়ে মাত্র বাইশ বছর বয়সে মধুমিতা তাঁর প্রথম সাক্ষাত্কারটি নেন এক ধর্ষকের থেকে। সেখানে যাওয়ার আগে ধর্ষক সম্পর্কে বিভিন্ন ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া থেকে মধুমিতার মনে স্পষ্ট ধারণা হয়েছিল এরা দানব। কিন্তু কথা বলে বুঝেছেন, এরা আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই অত্যন্ত সাধারণ একজন মানুষ।
প্রসঙ্গত, তিনি নির্ভায়কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত সেই সময়ের অন্যতম অভিযুক্তের সঙ্গেও কথা বলেন। কথা বলেন ধর্ষণে অভিযুক্ত আরও অনেক ব্যক্তির সঙ্গে। মূলত এদের বেশিরভাগই অশিক্ষিত, অথবা স্কুল ড্রপআউট। তবে কেউ কেউ গ্র্যাজুয়েট। মূলত এই সমস্ত মানুষগুলো যে পরিবেশে বড় হয়েছে, সেখানে তাদের যে নজরে মহিলাদের দেখতে শেখানো হয়েছে, তাদের কাছে ধর্ষণ কোনও অপরাধই নয়। তারা মনে করে মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক মিলনের জন্যে তাঁদের সম্মতি অপ্রয়োজন।
এই মানুষগুলো যে সমাজে বড় হয়েছে, সেখানে পুরুষদের শেখানোই হয় জোর খাটাতে, মহিলাদের নীচু, সহনশীল হয়ে থাকতে। তবে এটা হাতে গোনা কয়েকজন পুরুষ নাকি, গোটা পুরুষ সমাজের সমস্যা সেটাই এখন গবেষণার মাধ্যমে জানতে চান মধুমিতা।
আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই নিজের গবেষণাপত্র বের করার কথা মধুমিতার।
কিন্তু সেখানেও তৈরি হয়েছে বাধা। অনেকেরই মত, একজন মহিলার নজর দিয়ে পুরুষদের দেখানো হচ্ছে।
আপাতত এই না না প্রশ্নের মাঝে আটকে রয়েছে মধুমিতার গবেষণাপত্রের মুক্তির বিষয়টি। উৎস : এবিপি আনন্দ