অনৈতিক কর্মকাণ্ড! যুবক-যুবতীকে শিকলে বেঁধে নির্যাতন!
অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ তুলে মেহেরপুরের গাংনীতে যুবক-যুবতীকে শিকলে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের সহড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ বুধবার ভোরে যুবক-যুবতীকে একসঙ্গে পেয়ে এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্যসহ স্থানীয় মাতব্বররা তাদেরকে আটক করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে। স্থানীয় এক ব্যক্তি ঘটনাটি মুঠোফোনে ভিডিও ও স্থিরটিত্র ধারণ করে। পরে সেগুলো প্রকাশ পেলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
মুঠোফোনে ধারণকৃত স্থিরচিত্রে দেখা যায়, যুবকটির কোমরে শিকল বেঁধে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নছিমনের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। আর তার পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন এক যুবতী। ওই যুবতীকেও কোমরে শিকল বেঁধে নছিমনের সঙ্গে বাঁধা দেখতে পাওয়া যায়। তাদেরকে ঘিরে রেখেছে এলাকাবাসী। নির্যাতনের একপর্যায়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়।
নির্যাতনের শিকার যুবতী সাংবাদিকদের জানান, রিপন হোসেনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে।
এ কারণে আজ বুধববার ভোরে রিপন তার সঙ্গে দেখা করতে আসে। এ সময় হঠাৎ এলাকার কিছু লোক তাদেরকে জোর করে ধরে নিয়ে আসে। এরপর রিপনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে তারা।
জানতে চাইলে রিপন হোসেন জানান, তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে আটক করে নির্যাতন করা হয়েছে। যাতে সমাজে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়। তিনি এ নির্যাতনের বিচার দাবি করেন।
ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলামের কাছে নির্যাতনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “মঙ্গলবার দিবাগত রাতে যুবতীর বাড়ির পাশে একটি বাগানে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় তাদের দুইজনকে আটক করা হয়। যুবকটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের দুইজনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। ” আইনের হাতে তুলে না দিয়ে শিকলে বেঁধে নির্যাতন করলেন কেন?- এমন প্রশ্নের কোনও জবাব দিতে পারেননি তিনি।
গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, “যুবক-যুবতীকে থানায় আনা হয়েছে। নির্যাতনের বিষয়টি আমলে নিয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। “