173909

‘বন্ধ ঘরে নিয়ে সবাই মিলে আমাকে ধর্ষণ করেছে’

মহিলাদের নিরাপত্তা-সুরক্ষায় কড়া নজর রয়েছে উত্তর প্রদেশে যোগী সরকার প্রশাসনের৷ কিন্তু সাম্প্রতিক এক ঘটনায় যেন সেই বিষয়টি আরও একবার প্রশ্নের সম্মুখীন৷ রাজধানী লখনউয়ে ফের গণধর্ষণের শিকার এক ছাত্রী৷ অভিযোগ উঠেছে পুলিশের ভূমিকাতেও৷ পুলিশ যদি সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিত তাহলে হয়তো অঘটন আটকানোও যেত৷ এ খবর প্রকাশ হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম কলকাতা২৪।

কি অভিযোগ?
সূত্রের খবর, লখনউ-এর মোহনলালগঞ্জ এলাকায় গাড়িতে যাচ্ছিল কয়েকজন যুবক৷ তারাই এক কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে৷ এরপরেই তাকে গণধর্ষণ করে তারা৷ তাদের মধ্যে একজন এই ছাত্রীকে আগে থেকেই চিনত বলে জানা গিয়েছে৷ সেইই এই ছাত্রীকে ফোন করে ডেকে আনে৷ ছাত্রীটি ওই যুবকের কথা মতো নির্দিষ্ট স্থানে এলে, উপস্থিত অন্যান্য যুবকেরা তার মুখে কাপড় বেঁধে তুলে নিয়ে যায়৷

নির্যাতিতার অভিযোগ, যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন সে একটি বন্ধ ঘরের মধ্যে পড়ে ছিল৷ অভিযুক্তেরা একে একে তার ওপর শারীরিক অত্যাচার করে৷ সে এর বিরোধিতা করলে দু’জন তাকে মারধোরও করে বলে অভিযোগ৷ এরপর সেই যুবকেরাই তাকে কিছু টাকা দিয়ে বাসে চাপিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়৷ বাড়ি ফিরে এসে সমগ্র ঘটনার কথা পরিবারকে জানায় নির্যাতিতা৷

পরিজনেরা তাকে নিয়ে থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে৷ মেডিক্যাল টেস্টও করা হয় ছাত্রীটির৷ পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, তারা মেয়ের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার রিপোর্ট দেয় থানায়, কিন্তু পুলিশ সেসময় পদক্ষেপ নিলে হয়তো এই ঘটনাটি ঘটত না৷

প্রসঙ্গত, যৌনকর্মীরাও শিকার হয় গণধর্ষণের৷ গত জুনেরই ঘটনা৷ এক যৌনকর্মীকে একা পেয়ে জোর করে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন মহিলা পাচারের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পিছনে আর কেউ রয়েছে কিনা তা জানতে ধৃতদের জেরা করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে নয়ডাতে।

পুলিশকে আক্রান্ত মহিলা জানান, তাঁকে আসরু নামে এক ব্যক্তি অপহরণ করে আফ্রিদি নামে আরেক ব্যক্তির কাছে। মহিলার দাবি, আফ্রিদির থেকে তাঁকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে কেনেন কিষান, নরেশ ও রাহুল নামে তিন ব্যক্তি। অভিযোগকারিণীর আরও জানিয়েছেন, এই তিনজন তাঁকে টেনে গাড়িতে তুলে জোর করে মদ খাইয়ে চলন্ত অবস্থায় পালা করে ধর্ষণ করে। পরে, তাঁকে গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।

এরপর স্থানীয় লোকজনই তাকে উদ্ধার করে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি হন। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে সম্পূর্ণ ঘটনাটি জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

সূত্র: বিডি২৪লাইভ

ad

পাঠকের মতামত