173936

ছেলেরা যৌনতাকে মাদকের মত ব্যবহার করছে!

বর্তামান সময়ে মানুষের কাছে সময়ের বড় অভাব৷ আর সেই অভাবের খেসারত দিতে হচ্ছে স্বাভাবিক যৌন জীবনকেও৷
যৌনতা বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেই প্রাচীন যুগ থেকেই৷ কিন্তু ইদানিং সস্তায় বাজিমাতের লোভ সামলাতে পারছেন না অনেকে৷

প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে খনিকের আনন্দ পেতে এখন মানুষের ঠিকানা “চিপ সেক্স”৷ আর ঠিক এই কারণেই কমে যাচ্ছে বিয়ের প্রবণতা৷
আমেরিকায় এই “চিপ সেক্স” বেড়েছে আশ্চর্যরকম ভাবে৷ সমাজবিজ্ঞানী মার্ক রেগনার্সের মতে, ২০০০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সেদেশে বিয়ের হার কমেছে প্রায় ১৩ শতাংশ৷ আর এই পুরোটাই হয়েছে ২৫ থেকে ৩৪ বছরের ব্যক্তিদের মধ্যে৷

তার মতে “চিপ সেক্স” একটি অর্থনৈতিক শব্দ৷ সাদা বাংলায় যাকে বলে কম খরচে সময় বা অনুভূতির পিছনে বিনিয়োগ করা৷ তিনি ও অ্যান্টনি গিডনেস একটি বই লিখেছেন৷ নাম “চিপ সেক্স: দ্য ট্রান্সফর্মেশন অফ মেন, ম্যারেজ অ্যান্ড মোরোগ্র্যামি”৷
সেখানে তারা বলেছেন, “দুটি মার্কেট একে অপরের উপর চেপে বসেছে৷ একটি বিয়ে, অন্যটি যৌনতা৷”
আগেকার দিনে বিয়ের আগে পর্যন্ত শারীরিক সম্পর্কের দিকে যেত না মেয়েরা৷ কিন্তু এখন অত্যধিক স্বাধীনতা ও পর্নোগ্রাফির জামানায় যৌনতা যে কোনও সময় খুব সহজেই পাওয়া যায়৷ এই কারণে ছেলেরা বিয়ের দিকে ততটা উৎসাহ দেখান না৷

রেগনারের মতে, ২০ জনের ছেলের মধ্যে গড়ে ৩ জনই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান না৷ এর জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ি “চিপ সেক্স”৷ এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতার কমতি ও চাকরির হার কমে যাওয়ার পিছনেও “চিপ সেক্স”-ই কারণ বলে মনে করেন তিনি৷
তার মতে, এখন ছেলেরা যৌনতা পাওয়ার জন্য শিক্ষার ক্ষেত্রে পরিশ্রম করে না বা ক্যারিয়ারে ফোকাস করে না৷ যৌনতা এখন স্বাধীন ও সহজ৷ এটাই আজকাল মাদকের মত ব্যবহার করছে ছেলেরা৷

নারীদের কাছে মনে হয়, ছেলেরা কমিটমেন্টে যেতে পারে না৷ প্রতিশ্রুতি দিতে তারা ভয় পায়৷ কিন্তু সাধারণত ছেলেরা কমিটমেন্টে ভয় পায় না৷ আসলে বিয়ের বাজারে এখনও ছেলেরা চালকের আসনে বসে আছে৷ তারা তাদের স্বার্থ ও পছন্দগুলোকে গুরুত্ব দেয়৷ আর তার দিকেই তারা যাত্রা করে৷ সেই কারণে বিয়ে অধিকাংশ সময়ই সুখের হয় না৷

এমনকী এই প্রসঙ্গে ফিফটি শেডস অফ গ্রে সিনেমার কথাও উল্লেখ করেছেন রেগনার৷ বলেছেন, “এটি ফিকশন৷ এটি তৈরি করা হয়েছে৷ কিন্তু যদি ২ বছরে এর ১০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়, তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয়ই এর মধ্যে কিছু আছে৷

ad

পাঠকের মতামত