173521

যে কারণে ভাবির মলমূত্র খাওয়ানো হলো দেবরকে! এলাকাজুড়ে তোলপাড়

ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনার বামনা উপজেলার পূর্ব সফিপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায়। ঐ গ্রামের মৃত আদম আলী মল্লিকের ছেলে মো. ইউনুস (৩৫) এলাকায় কথিত ফকির হিসেবে পরিচিত। বড় ভাই মো. ইসমাইলের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। ঠিক এমনটিই প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রে মতে, পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে গত শুক্রবার ইসমাইল, তার স্ত্রী পারুল বেগম (৩৫) এবং ছেলে সোহাগ (২২) জাদু-টোনার মাধ্যমে ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনে। তারা ইউনুসকে একটি বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বাঁধে। লাঠি দিয়ে প্রথমে পেটায়। এর পরে বোতলে পারুল বেগমের মলমূত্র ভরে তাকে জোরপূর্বক খাওয়ানো হয়।

এমন অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে ইউনুসের বড় ভাই, ভাইপো ও তার পরিবারের সদস্যরা। এ সময় জোরপূর্বক তাকে বড় ভাইয়ের স্ত্রীর মলমূত্র খাওয়ানো হয়।

এ নির্যাতনের চিত্র স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ধারণ করে পরে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায় ফেসবুকে। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে মোবাইল থেকে মোবাইলে।

এ সময় দাঁড়িয়ে থেকে দেখেন ইউনুসের স্ত্রী, তিন শিশুকন্যা মরিয়ম (৪), রূপালী (৮) ও তামান্না (১৩)। ইউনুসের মা রাজিয়া বেগম (৬৫) বাধা দিলে তাঁকেও পিটিয়ে আহত করে নির্যাতনকারীরা।

ইউনুস গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাঁকে বামনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ নির্যাতনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বামনা থানা পুলিশ। এর আগে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে নির্যাতনকারীরা। তবে সোহাগকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি মো. সাহাবুদ্দিন জানান, একটি মামলা করা হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান আসামি ইসমাইল আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

ad

পাঠকের মতামত