173326

বদলে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে অস্ট্রেলিয়া

২০০৬ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। সেবার টাইগারদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও দুইটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল অজিরা। তারপর বাংলাদেশের বিপক্ষে আর কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। দীর্ঘ ১১ বছর পর আবার অজিদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।

দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে সকাল ১০টায়। গত ১৭ বছরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া চারটি টেস্ট খেলেছে। যার সগুলোতেই বড় ব্যবধানে জিতেছে অজিরা। পূর্বের সেই বাংলাদেশ আর মুশফিকুর রহিমের বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবধান অনেক। এক কথায়, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ এখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের জন্যই কাল মাঠে নামছে।

ঘরের মাঠে অজিদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি সাকিব-তামিমের জন্য স্বরণীয় করে রাখার বিষয়ে শনিবার দুপুরে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের দুজন টপ ক্লাস খেলোয়াড়ের পঞ্চাশতম টেস্ট। সাকিব-তামিমের এই স্বরণীয় টেস্ট নিয়ে আমরা নিজেদের মধ্যে কথা বলেছি, আমরা চেষ্টা করবো এই টেস্ট তাদের দুই জনের জন্য খেলার। তাদের একটা ট্রিবিউট দিতে। তারা তো বাংলাদেশকে অনেক কিছু দিয়েছি, আশা করি আরও অনেক কিছু দিবে। ওরাও নিজেদের মাইলফলক পারফরম্যান্স করে, ভালো ফল দিয়ে আমরা যেনন উপলক্ষটা উদযাপন করতে পারি।

টেস্ট সিরিজের লড়াই শুরুর আগে অস্ট্রেলিয়ান অফ-স্পিনার নাথান লিঁও বলেন, স্পিনারদের জন্য এই টেস্ট একটি বড় মঞ্চ। ২০ উইকেট নেয়ার মত সক্ষমতা আমাদের বোলারদের আছে। দু’টি টেস্ট জেতার জন্যই আমরা অনেকগুলো পরিকল্পনা করেছি। মনে হচ্ছে এটি স্পিন সহায়ক উইকেট হবে। আমাদের দু’দলের জন্য সমান সুযোগ থাকছে। আমরা খুব আত্মবিশ্বাসী যে, আমাদের দায়িত্বটা আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারবো। বাংলাদেশের স্পিনারদের মোকাবেলা করতে আমরা প্রস্তুত এবং তাদের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করতেও আমরা তৈরি।

শুধুমাত্র স্পিনারই নয়, দলের পেসারদের উপরও আস্থা রাখছেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার লিঁও। তিনি বলেন, আমাদের দলে খুব ভালো তিন পেসার জশ হেইজেলউড, প্যাট কামিন্স ও জ্যাকসন বার্ড রয়েছে। এই কন্ডিশনে বৈচিত্র্যময় বোলিং করতে পারে তারা তিনজন। শ্রীলঙ্কায় ও ভারতে আমরা সেটি দেখেছি। আমার মনে হয়, এখানেও ভালো কিছু হবে। আমাদের বোলিং নিয়ে আমি খুশী।

সর্বশেষ ২০০৬ সালে বাংলাদেশে টেস্ট খেলতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। তখনকার দলে ছিলেন হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও রফিকরা। ওই দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন না। কেউ আবার দলের নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শুধু বাংলাদেশেরই নয়, ওই সিরিজ খেলা অস্ট্রেলিয়ারও কেউ এখনকার মূল দলে নেই।

বাংলাদেশ একাদশ (সম্ভাব্য):

তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক, অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

অস্ট্রেলিয়া একাদশ (সম্ভাব্য):

ডেভিড ওয়ার্নার, ম্যাট রেনশ, স্টিভেন স্মিথ (অধিনায়ক), উসমান খাজা, পিটার হ্যান্ডসকম্ব, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ম্যাথু ওয়েড (উইকেটরক্ষক), অ্যাশটন আগার, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলেউড, নাথান লায়ন।

ad

পাঠকের মতামত