173317

চার সন্তানের জননী মালয়েশিয়ান তরুণী

প্রেমের টানে টাঙ্গাইলের সখীপুরে চলে আসা মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজাকে নিয়ে মনিরুলের বাড়িতে শুক্রবার রাতে চলছিল বিয়ের ধুমধাম। পরে মালয়েশিয়া থেকে আসা ফোনের এক কথায় থেমে যায় সবকিছু। ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে এক বাংলাদেশি দাবি করেন, জুলিজা তার স্ত্রী। তাদের চার সন্তানও আছে! এরপর থেকেই নতুন স্বামী মনিরুল ইসলামকে নিয়ে আত্মগোপনে ওই তরুণী।

শনিবার দুপুরে সখীপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরুলের বাড়ি ও পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মামার বাসায় খোঁজ নিতে গেলে পরিবারের সদস্যরা জানান, সকাল থেকে ওই মালয়েশিয়ান তরুণী ও মনিরুলকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে মনিরুলের মোবাইল ফোন নম্বরে বার বার ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে মালয়েশিয়ান তরুণী জুলিজা বিনতে কামিসের (২২) সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় সখীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঈমান আলীর ছেলে ও সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মনিরুলের (১৭)। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের গভীরতা বেড়ে যায়। অবশেষে মালয়েশিয়া থেকে প্রেমের টানে ২৫ আগস্ট শুক্রবার সকালে ওই তরুণী মনিরুলের কাছে সখীপুরে চলে আসেন।

এ ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে জুলিজা বিনতে কামিসের পূর্বের স্বামী মো. আজগর আলীর নজরে আসে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জুলিজার বিনতে কামিসের ফেলে আসা স্বামী আজগর আলী চার সন্তানসহ তাদের পারিবারিক একটি গ্রুপ ছবি ও কাবিননামাসহ বিস্তারিত তথ্য সাংবাদিকদের কাছে পাঠান।

জুলিজার আগের স্বামী মো. আজগর আলী বলেন, ১৯৯৬ সালে জীবিকা নির্বাহের জন্য মালয়েশিয়া চলে আসি। সেখানেই পরিচয় হয় জুলিজার সঙ্গে। ২০০৮ সালে ৫০ হাজার টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয় আমাদের। আমাদের সংসারে চারটি সন্তানও রয়েছে। আমার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকার ঝিগাতলা। সন্তানদের ফেলেই শুক্রবার জুলিজা বাংলাদেশে চলে গেছে।

মনিরুলের বাবা ঈমান আলী বলেন, বউমাকে নিয়ে ছেলে সকাল থেকে কোথায় আছে বলতে পারছি না। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।

মনিরুলের মামা সিরাজুল ইসলাম বলেন, মনিরুল তার বউকে নিয়ে সকালে বাসা থেকে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। তারপর থেকে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

এ ব্যাপারে সখীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই।

ad

পাঠকের মতামত