প্রেমের টানে মালয়েশীয় তরুণী টাঙ্গাইলে
প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন এক মালয়েশীয় তরুণী। বৃহস্পতিবার রাতে ওই তরুণী ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। শুক্রবার ভোরে প্রেমিক মনিরুল ইসলাম তাকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিয়ে আসেন।
মালয়েশীয় ওই তরুণীর নাম জুলিজা বিনতে কাসিম (২২)। শুক্রবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেয়া হয় বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছয় মাস আগে মালয়েশীয় ওই তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে টাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের ইমান আলীর ছেলে মনিরুল ইসলামের পরিচয় হয়।
মনিরুল সরকারি মুজিব কলেজের মানবিক বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের টানেই মালয়েশিয়া শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জুলিজা বিনতে কাসিম মনিরুলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। মনিরুলও তার প্রস্তাবে রাজি হয়।
পরে জুলিজা প্রেমের বিষয়টি পরিবারের কাছে গোপন রেখে বন্ধুর বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে বাংলাদেশে চলে আসেন। তিনি এক মাসের ভ্রমণ ভিসা নিয়ে ১৭ দিনের জন্য এসেছেন।
জুলিজা বিমানবন্দরে নামার আগে থেকেই প্রেমিক মনিরুল, মা মনোয়ারা ও নানা আমজাদ আলী অপেক্ষা করছিলেন। শুক্রবার ভোরে তাকে নিয়ে মনিরুল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে মামা নওশের শিকদারের বাড়িতে ওঠেন।
এলাকায় খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় জমান। শুক্রবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিয়ে দেয়া হয়।
জুলিজা জানান, প্রেমের টানে তিনি বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন। মনিরুলকে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন। প্রেমিককে বিয়ে করতে পেরে অনেক খুশি হয়েছেন জুলিজা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ, এদেশের প্রকৃতি ও মানুষকে তার খুব ভালো লেগেছে। খাবার খেতে কিছুটা সমস্যা হলেও শ্বশুর বাড়ির লোকজনের আন্তরিকতায় তিনি মুগ্ধ।
জুলিজা আরও জানান, দেশে ফিরে গিয়ে বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানাবেন এবং মনিরুলকে মালয়েশিয়া নিয়ে যাবেন।
মনিরুল জানান, তিনি জুলিজাকে পেয়ে খুবই আনন্দিত। তিনি বিশ্বাসই করতে পারেনি জুলিজা তার ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে আসবেন। জুলিজা খুবই সহজ-সরল ও শান্ত প্রকৃতির মেয়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনিরুলের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, বিদেশি মেয়েকে ছেলের বউ হিসেবে পেয়ে আমি খুশি। তারা সুখে থাকুক এটাই কামনা করি।