172982

অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন, প্রধান আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শেফালী বেগমকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের মামলার প্রধান আসামি নুর আলম শাহকে (৫৮) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সোমবার বিকেলে নীলফামারী র‌্যাব ক্যাম্পের সিপিসি-২ একটি দল অভিযান চালিয়ে নীলফামারী রেলস্টেশন এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার নুর আলম নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়া এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতার নুর আলম শাহকে জেলে পাঠানো হয়। গতকাল রাতেই নুর আলম শাহকে ডিমলা থানায় হস্তান্তর করে র‌্যাব।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২ নীলফামারী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক এএসপি মো. শাহীনুর কবিরের নেতৃত্বে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।

গরু চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে গত ৪ আগস্ট ডিমলা উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের বাইশপুকুর কোলন ঝাড় গ্রামের লালন মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগমকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করা হয়।

গত ৫ আগস্ট সকালে ওই গৃহবধূকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ আগস্ট শেফালী কন্যা সন্তান জন্ম দেন। সময়ের আগে জন্ম নেয়া ওই শিশু সন্তান ৯ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মারা যায়।

এ ঘটনায় শেফালীর মামা সহিদুল ইসলাম ডিমলা থানায় ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। পরে রংপুর মেডিকেল থেকে ফিরে শেফালী বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে পূর্বের মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে ডিমলা থানায় মামলার আবেদন করেন।

সেটি আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করে। ওই মামলায় শেফালীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের হুকুমদাতা হিসেবে প্রধান আসামি করা হয় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার নুর আলম শাহকে।

এ মামলায় খালিশা চাঁপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তামজিদার রহমান, ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলামের নামও রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার নুর আলম শাহকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত