শাকিল খানকে নিয়ে বোমা ফাঁটালেন পপি
দেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি। তবে চলচ্চিত্রে তিনি পপি নামেই পরিচিত। ‘কুলি’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন এ অভিনেত্রী। নিজের অভিনয় আর দক্ষতা নিয়ে পেয়েছেন দর্শক প্রিয়তা। অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুস্কাররে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
পপিকে নিয়ে মিডিয়া পাড়ায় একটা সময় হৈ চৈ পড়েছিলো। কারণ হিসেবে ছিল তৎকালিন চিত্র নায়ক শাকিল খানের সাথে প্রেম সম্পর্ক। তবে বেশি দিন টিকে থাকেনি তাদের সম্পর্ক। এক পর্যায়ে দু’জনের দূরত্ব হয়ে যায়। দীর্ঘ দিনের এ দূরত্বের পর নতুন করে আবারও আলোচনায় নায়িকা পপি।
সম্প্রতি তিনি একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে শাকিল খানকে নিয়ে নতুন করে মন্তব্য করেন এবং অতিতের কথা তুলে ধরেন। ওই অনুষ্ঠানে পপি বলেন, ‘শাকিল আমার জন্য সঠিক মানুষ ছিলো না। আমি যতোটুকু জানি শাকিলের অনেকগুলো প্রেম ছিলো, অনেকগুলো বিয়েও ছিলো। তাদের সাথে সে কমফোর্টেবল ছিলো। অনেকের সাথে তার বিয়ে হয়েছে, বাচ্চা হয়েছে, এভাবে অনেকগুলো পর্ব গেছে।’
জানা গেছে, এসব ব্যাপার জানার পর তিনি ওই নায়কের জীবন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। পপির মতে, প্রত্যেকের জীবনে ধাক্কা খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাতে ভবিষ্যতে সতর্ক থাকা যায়। শাকিলের সঙ্গে তার প্রেম তেমনই একটি ধাক্কা।
এমন খবরের ভিত্তিতে বিডি২৪লাইভ থেকে যোগাযোগ করা হয় চিত্রনায়িকা পপির সাথে। পপির সাথে দীর্ঘক্ষন কথা হয় প্রতিবেদক আরেফিন সোহাগের। আলাপকালে পপি বলেন, ‘এমন কথা আমি বলেছি। কিন্তু আমি ভাবিনি এটা নিয়ে ওনারা নিউজ করবে। একটা অনুষ্ঠানে কথার ফাঁকে আমি শাকিল খানকে নিয়ে ওই কথা গুলো বলেছি। তবে দীর্ঘদিন পর কেন এটা নিয়ে আবার আলোচনা হবে আমি বুঝছি না’।
আগামীতে নতুন কোন কাজ হাতে নিয়েছেন কিনা সেটা জানতে চাইলে পপি বলেন, ‘বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। আশা করি ঈদে বেশ কিছু কাজ আমার দর্শকরা দেখতে পাবেন। আর নতুন করে কিছু প্রস্তাব আসছে এখন সে সব নিয়ে কথা বলবো না’।
উল্লেখ্য, মডেলিং থেকে চলচ্চিত্রে আসেন পপি। লাক্স আনন্দ বিচিত্রার সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরিচিতি লাভ করেন পপি। ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত আমার ঘর আমার বেহেশত ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন পপি। কিন্তু তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র কুলি। মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত এই চলচিত্রে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ওমর সানি।
এরপর ১৯৯৮ সালে রিয়াজের বিপরীতে বিদ্রোহ চারিদিকে, ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে কে আমার বাবা ও লাল বাদশা, ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত ক্ষেপা বাসু ও বাবুল রেজা পরিচালিত ওদের ধর ছায়াছবিগুলো ব্যবসাসফল হয়। মান্না প্রযোজিত লাল বাদশা ছায়াছবি ব্যবসা সফল হয় ও তার অভিনয় জীবনে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। ২০০৩ সালে অভিনয় করেন কালাম কায়সার পরিচালিত কারাগার ছায়াছবিতে। এতে এক টোকাই চরিত্রে অভিনয় করে প্রথম বারের মত শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সূত্র: বিডি২৪লাইভ