172739

কুড়িগ্রামে বন্যায় তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা ও দুধকুমারসহ প্রধান প্রধান সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। আজ রবিবার সকাল ৬টায় ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮ মিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে বন্যার পানিতে ৯টি উপজেলার তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। এ ছাড়া সাপের কামড় ও পানিতে ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার খামার হলোখানা গ্রামের গৃহবধূ জোসনা ও কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার ভেলাকোপা গ্রামের দেড় বছরের এক শিশু। শিশুটির পরিচয় জানা যায়নি।

এও জানা গেছে, পাটেশ্বরী নামক স্থানে কুড়িগ্রাম-ভূরুঙ্গামারী সড়কের ৩টি স্থানে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ভেঙে গেছে কুড়িগ্রাম-ফুলবাড়ী সড়ক। একই সঙ্গে এই সড়কের আরডিআরএস বাজারে ভাঙনকবলিত এলাকায় ৩০টি দোকান ভেঙে গেছে।

এ ছাড়াও রাজারহাটের কালুয়ারচরে বেড়িবাঁধ ভেঙে ভেসে গেছে ২০টি বাড়ি। ফুলবাড়ী-নাগেশ্বরী সড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

তা ছাড়াও বন্যার পানিতে হাজার হাজার হেক্টর জমির আমন ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে বেশ কিছু গবাদিপশু।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীতে ৮৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রে ৫৮ সেন্টিমিটার, দুধকুমরে ৬০ সেন্টিমিটার ও তিস্তায় ৫৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।

ad

পাঠকের মতামত