172715

ফেসবুকে পরিচয়: বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এনে দল বেঁধে ধর্ষণ

ময়মনসিংহে ফেসবুকের পরিচয় সূত্রধরে এক নারীকে এনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার গোপালগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (১১ আগষ্ট) সন্ধ্যায় গণধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই নারী জুয়েল মিয়া, আবু সাইদ, আজমল, নাসির উদ্দিন, বোরহান উদ্দিন, আবদুল মজিদ, কামাল হোসেন, রিপন মিয়া ও মোরশেদ মিয়াকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের মধ্যে রিপন মিয়ার বাড়ি নান্দাইল ও মোরশেদ মিয়ার বাড়ি গফরগাঁও এলাকায়। বাকিদের সবার বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জের উজানচর গ্রামে।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের ভাটি চরনও পাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল মিয়া গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার বান্দাবাড়ি গ্রামের এক নারীর সাথে একবছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। তারপর থেকে জুয়েল মিয়ার সাথে ওই নারীর মোবাইল ফোনে কথাবলার একপযার্য়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সেই সূত্রে জুয়েল মিয়া ওই নারীকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বড় বোনকে সাথে নিয়ে গত ৬ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ বাস স্টেশনে পৌঁছে।

সেখান থেকে জুয়েল মিয়া সিএনজিযোগে রাজীবপুর ইউনিয়নের ভাটি চরনওপাড়া গ্রামের লাটিয়ামারী বাজারের কাছে বেড়িবাঁধ এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর চরে তাদের নিয়ে যায়। পরে রাত ১১টার দিকে জুয়েল মিয়া ও তার সহযোগীরা বড় বোনকে আটকে রেখে ছোট বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং তাদের সাথে থাকা বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও দুটি মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ভোরে অসুস্থ অবস্থায় বড়বোনের সহায়তায় অদূরে আক্তারুজ্জামান শরাফতের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

আক্তারুজ্জামান ঘটনার বিবরণ শুনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে আশে-পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে সত্যতা পেয়ে ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, ওই নারীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত