172672

বিয়ার নিয়ে কিছু মজাদার তথ্য!

মদ্যপান না করলে পার্টির মজা কোথায়? আর হাতে যদি এক মগ বিয়ার থাকে আর ঘণিষ্ট বন্ধুদের সঙ্গ, তাহলে আর কি ই বা চাই জীবনে। বিয়ার হল বিশ্বের অন্যতম বেশি পান করা মদ্য পানীয়। পান করার দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পান করা পানীয়র মধ্যে ৩ নম্বরে রয়েছে বিয়ার। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে যথাক্রমে রয়েছে পানি ও চা।বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিয়ারের প্রতি মানুষের ভালবাসার উদাহরণ পাওয়া যায়। আমেরিকায় প্রতি বছর ২৩ গ্যালনের বেশি বিয়ার পান করা হয়। বিয়ার সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য দিলাম যা সম্ভবত আপনার অজানা। এই প্রতিবেদন পড়লেই বুঝতে পারবেন আসলে বিশ্বজুড়ে কতটা জনপ্রিয় এই পানীয়।

তথ্য ১: বিয়ার নিয়ে পড়াশোনার নিজস্ব বিজ্ঞানসম্মত নাম রয়েছে। আর তা হল জাইথোলজি। বিয়ার বিশেষজ্ঞদের জাইথোলজিস্ট বলে। তারা বিয়ারের উপাদান, এবং ব্রিউইং পদ্ধতি নিয়ে আলোকপাত করতে পারেন।তথ্য ২: সারাবিশ্ব জুড়ে মোট ৪০০ ধরেণেরও বেশি বিয়ার পাওয়া যায়। যার ভিতর বেলজিয়ামে সবচেয়ে বেশি ধরনের বিয়ারের ব্র্যান্ড রয়েছে।তথ্য ৩: সবচেয়ে প্রাচীন পানযোগ্য বিয়ারের খোঁজ মিলেছিল ২০১০ সালে, ফিনল্যান্ডে উনবিংশ শতাব্দীর একটি জাহাজের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে পাওয়া যায় এই বিয়ারের খোঁজ। জলের গভীরের ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে তা এতদিনেও পানযোগ্য ছিল। তবে এর স্বাদ বেশ পুরনো ধরনের।

তথ্য ৪: বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিয়ার উৎসবের নাম অক্টোবর ফেস্ট। জার্মানির মিউনিক শহরে এই উৎসব অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়। এই অক্টোবর ফেস্ট টানা ১৬ দিন ধরে চলে। বিশ্বের নানা প্রান্তে এই উৎসবের প্রচলন এখন শুরু হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে শুরু করে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ এই উৎসব চলে।তথ্য ৫: বিশ্বের সবচেয়ে স্ট্রং বিয়ার স্নেক ভেনমে ৬৭.৮% অ্যালকোহল থাকে, যেখানে সাধারণ বিয়ারে মাত্র ১০% অ্যালকোহল থাকে।তথ্য ৬: বিয়ার চুলের পক্ষে অত্যন্ত ভাল। শ্যাম্পুর পর চুলে বিয়ার লাগিয়ে কয়েক মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলা যায় তাহলে চুল মোলায়েম ও রেশমের মতো হয়। পাশাপাশি চুলে জট পরাও বন্ধ হয়। সূত্রঃ এক্সপ্রেস ইউকে।

ad

পাঠকের মতামত