কেমন আছেন ম্যাডাম ফুলি খ্যাত সিমলা দেখুন
ম্যাডাম ফুলি খ্যাত বাংলা সিনেমার নায়িকা সিমলা। ‘ম্যাডাম ফুলি’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৫ সালে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ সিনেমায় অভিনয় করে নতুন করে আলোচনায় আসেন। এরপর থেকে চলচ্চিত্রে তাকে দেখা যায়নি। সর্বশেষ ২০১৭ সালে আশিকুর রহমান আশিক পরিচালিত ‘ম্যাডাম ফুলি-২’ সিনেমায় কাজ করার কথা থাকলেও সিনেমার দৃশ্যায়নের কাজ শুরু হয়নি।
সিমলা বেশির ভাগ সময় দেশের বাইরেই অবস্থান করেন। ২০১৭ সালের মে মাসে বাংলাদেশে আসেন সিমলা। তবে দেশে আসার পর মিডিয়ার বাইরে রয়েছেন। গত ১০ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সিমলার সাথে আলাপ হয় বিডি২৪লাইভ’র সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট আরেফিন সোহাগ’র। আলাপকালে সিমলা জানান বর্তমান অবস্থা নিয়ে।
বর্তমান কি করছেন এবং কেমন আছেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে সিমলা বলেন, ‘আমার শারীরিক অবস্থা ভালো যাচ্ছে না। আমি গত তিন মাস হলো দেশে এসেছি। আপাতত কোন কাজ করছি না। সব মিলিয়ে পারিবারিক ভাবে আমি একটু ঝামেলায় রয়েছি। সব কিছু ঠিক করেই আমি কাজে হাত দিবো’।
‘ম্যাডাম ফুলি-২’ সিনেমায় কাজ বন্ধ রয়েছে কেন? জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি যতদুর জানি প্রথম দিকে সব কিছু ঠিক ছিলো। পরে একটা সময় গল্পের পরিবর্তন আনা হয়েছিলো যার কারনে দেরি হয়েছে। এখন আমি শুনছি খুব শ্রীঘ্রই সিনেমার দৃশ্যায়নের কাজ শুরু হবে’।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালনায় ম্যাডাম ফুলি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রাঙ্গনে প্রবেশ করেন। এই চলচ্চিত্রে শিমলা ও ফুলি দুটি চরিত্রে অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি তার অভিষেক চলচ্চিত্রেই শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি সৈয়দ অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত গঙ্গাযাত্রা চলচ্চিত্রে ফেরদৌস আহমেদ ও সাদিকা পারভিন পপির সাথে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রীর জন্য বাচসাস পুরস্কার লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্র হল রূপগাওয়াল, নেকাব্বরের মহাপ্রয়াণ।