বাংলাদেশী ফেসবুকারদের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প
বাংলাদেশের ফেসবুকাররা পারেনও বটে! নির্বাচনের দু’দিন আগে থেকেই এ দেশের ফেসবুকাররা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন মেসেজ পাঠাতে শুরু করেন! কেউ তার মেয়েকে বিয়ে করতে চান, কেউ তার কাছে চান নকিয়ার চিকন পিনের চার্জার! এসব মেসেজের পরিপ্রেক্ষিতে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তব্য দিতেন বাংলাদেশের ফেসবুকারদের প্রতি, কেমন হতে পারত সেই বক্তব্য? ভেবেছে বিচ্ছু!
বাংলাদেশী ফেসবুকারদের প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প
প্রিয় বাংলাদেশী ফেসবুকারগণ,
আপনাদের অসাধারণ সমর্থনে আমি বিস্মিত, আবেগাপ্লুত! আমার নিজের দেশের কিছু বুদ্ধিমান নাগরিকও যেখানে আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতেছে, সেখানে নির্বাচনের আগেই পৃথিবীর অন্য প্রান্তের একটি ছোট দেশ থেকে ফেসবুকে হাজার হাজার মেসেজ পেয়ে আমি হতবাক হইছি। বাংলাদেশের মানুষ আমাকে শুভেচ্ছা জানাইতে এতটাই ব্যাকুল ছিল যে, আমি নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে ব্যস্ত তা জানানোর পরও তারা একের পর এক মেসেজ দিতে থাকে। যেই ছাত্রের কাল মেডিকেলের আইটেম, সে পড়ালেখা ফালায়ে একের পর এক আমার কাছে আইটেমের সাজেশন চায়। তার একের পর এক মেসেজের ঠেলায় আমি সেই সময় এক সুন্দরী আইটেম মানে সুপারমডেলের সঙ্গে ঠিকঠাক চ্যাটও করতে পারি নাই। তবুও আপনাদের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
সহস্র যুবক আমার জামাই হতে চেয়েছে, কেউ কেউ আমার মেয়েকে বিয়ে করে ঘরজামাই হয়ে হোয়াইট হাউসে থাকতে চেয়েছে, যেমনটা ওই বাজে মহিলা (হিলারি) ভোটে জিতলে তার স্বামীকে (বিল ক্লিনটন) থাকতে হতো! আগ্রহী যুবকদের বলতে চাই, আমার মেয়ে তার বাপরে পাত্তা দেয় না, তোমরা আসছো কই থেইকা?
ইয়ে, আমার যদি শরম বলে কিছু থাকতো তাইলে বলতে শরম পাইতাম, আমাকে এক সুন্দরী যুবতী লিটনের ফ্ল্যাটে যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছে। ওই মেসেজ আমি যখন পাই, তখন অবশ্য আমি লিটনের খালাতো ভাই রিপনের ফ্ল্যাটে ছিলাম। তরুণীকে জানাচ্ছি, পরেরবার এই সব মেসেজ ফেসবুকে দিওনা, মানে ইয়ে, ফেসবুক অ্যাকাউন্ট পেজ সব ইনবক্স আমার বউ মেলানিয়া দেখে কিনা…
অনেকেই আমেরিকায় এসে চা-এর দোকান দিতে চেয়েছে। আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। আমেরিকায় কিছুদিনের মধ্যে চা-এর দোকানের খুব দরকার হবে। কারণ আমি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পুরো আমেরিকার মুড়িই খাওয়া লাগবে। মুড়ি শুধু শুধু খাওয়ার চাইতে চা দিয়ে খাওয়া উত্তম!
যারা আমেরিকায় এসে ৩০০ টাকার এনার্জি লাইট ১০০ ডলারে বেচতে চেয়েছে, তাদেরকেও ধন্যবাদ। স্ট্যাচু অব লিবার্টির হাতে যেই একখান বাত্তি আছে, ওইটাতে খরচ খুব বেশি পড়ে যাচ্ছে। মেক্সিকোর দেয়াল করতে টাকা জমাইতেছি, তাই টাকা বাচাইতে স্ট্যাচু অব লিবার্টির হাতের দামি বাত্তি বদলায়া ৩০০ টাকার এনার্জি লাইটই ১০০ ডলারে কিইনা ফিট করার ইচ্ছা আছে।
তবে বাংলাদেশের ফেসবুকারদের দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে জানাইতেছি, আমার কাছে নকিয়ার চিকন পিনের চার্জার নাই। তবে অচিরেই বাংলাদেশের জন্য লাখখানেক চিকন পিনের চার্জার পাঠানোর ব্যাপারটা মাথায় রাখলাম। আপনারা চিকনে পড়লে মানে যে কোনো বিপদে পড়লে সাহায্য হিসেবে চিকন পিনের চার্জারই পাঠানো হবে। উৎস : যুগান্তর।