শহরে ট্রাম্পের নগ্ন পাঁচ মূর্তি

Trump 3

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের পার্কে চলতে গিয়ে হঠাৎ বিষম খেতে হলো অনেক পথচারীকে। পার্কের চত্বরে দাঁড়িয়ে আছেন রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুরো নগ্ন। বাস্তবতা হলো, পার্কে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটি আসলে ট্রাম্প নন, তাঁর প্রমাণ সাইজের একটি মূর্তি। কিন্তু এতটাই দক্ষভাবে মূর্তিটি গড়া হয়েছে যা দেখলে অনেকে আসল ট্রাম্প মনে করে ভুল করবেন।

বিবিসির খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের মতোই লস অ্যাঞ্জেলেস, সিয়াটল, স্যান ফ্রান্সিসকো, ক্লিভল্যান্ডের ব্যস্ত রাস্তায় বা পার্কে হঠাৎ করেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের নগ্ন মূর্তি দেখা যায়। বিরস বদনের ট্রাম্পের এসব মূর্তি বানিয়েছে ক্লিভল্যান্ডের এক ভাস্কর। আর বিভিন্ন মার্কিন শহরে এগুলো স্থাপন করেছে ইনডেকলাইন নামক একটি সংগঠন। বুধবার রাতের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ শহরে ওইরকম পাঁচটি মূর্তি বসিয়ে দেয়, যার নাম তারা দিয়েছে ‘দ্য্ এমপেরর হ্যাজ নো বলস’।

এক বিবৃতিতে ইনডেকলাইন জানায়, ভাস্কর্যগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের কুখ্যাত ও ঘৃণিত এক রাজনীতিবিদের বাহ্যিক ও রূপক প্রকাশ ঘটানো হয়েছে। মূর্তিগুলোর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে ইনডেকলাইন। এরই মধ্যে এই ভিডিওতে সয়লাব হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নগ্ন ভাস্কর্য দারুণ হাস্যরস সৃষ্টি করার পর নিউ ইয়র্কের ইউনিয়ন স্কয়ার থেকে সেটি সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Trump 2রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, শিল্পীরা এই ট্রাম্প মূর্তিকে রাঙিয়েছেন কমলা রঙে। পূর্ণ দৈর্ঘের থলথলে নগ্ন দেহে বেঢপ পেটের সঙ্গে দিয়েছেন খর্বাকৃতির আঙুল। তবে পুরুষ দেহের জরুরি একটি অংশ সেখানে অনুপস্থিত।

Trumpগার্ডিয়ান জানিয়েছে, নিউ ইয়র্কের ইউনিয়ন স্কয়ারে ওই ট্রাম্পমূর্তি দেখতে রীতিমতো ভিড় লেগে যায় বৃহস্পতিবার। নানা বয়সী নারী পুরুষ সেই মূর্তি ঘিরে আমোদে মেতে ওঠেন। সেই সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যায়।

জ্যঁ মেরি প্যাট্রিক নামের এক তরুণীকে হাঁটু গেড়ে বসে সেই ট্রাম্পমূর্তির ছবি নিতে দেখা যায়। তার ভাষায় ভাস্কর্যটি ‘নিদারুণ, ভয়ঙ্কর সুন্দর’। “খুব খারাপ একটা সপ্তাহ গেছে আমার। পুরো সপ্তাহের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো ঘটনা।”

অ্যাথেলিয়া সোকিয়া নামের আরেকজনকে সেই নাঙ্গা মূর্তির সঙ্গে ছবি তুলতে তুলতে ট্রাম্পবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। পরে নিউ ইয়র্ক পার্ক অ্যান্ড রিক্রিয়েশন বিভাগের লোকজন এসে বৃহস্পতিবার বিকালে নামিয়ে নেয় ট্রাম্পমূর্তিটি।

ওই বিভাগের মুখপাত্র মে ফার্গুসন রয়টার্সকে বলেছেন, ভাস্কর্যটি বসানোর সময় অনুমতি নেওয়া হয়নি, সুতরাং সেটি অবৈধ।

ইনডিক্লাইন শিল্পীরা একই রকম দেখতে আরও চারটি ভাস্কর্য বসিয়েছেন সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যা্ন্সেলেস, ক্লিভল্যালন্ড আর সিয়াটলে। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারা ব্যাখ্যা করেছেন, রিপাবলিকান প্রার্থীর কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার কারণেই ওই মূর্তি তারা এভাবে গড়েছেন।

অবশ্য এ বিষয়ে ট্রাম্পের মুখপাত্রের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে রয়টার্সের খবরে জানানো হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত