মার্কিন তদন্তদলের সঙ্গে কাল বসছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক, কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সোমবারের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় ওই বৈঠকে চুরির ঘটনা তদন্তের অগ্রগতি, হ্যাকারদের চিহ্নিত করা এবং এ ধরনের ঘটনায় ভবিষ্যতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এসব বিষয়ে আলোচনা হবে।
এ বৈঠকের বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এ বৈঠকের লক্ষ্য হচ্ছে ঘটনা কী ঘটেছিল, চুক্তিগত বাধ্যবাধকতার ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রমের ব্যাপারে একটি উদ্যোগ শুরু করা।
চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে সঞ্চিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আট কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এরপর তার বেশি অংশ ফিলিপাইনে ও কিছু অংশ শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়। ফিলিপাইনে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাধ্যমে ওই অর্থের একটি বড় অংশ দেশটির জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই অর্থের কিছু অংশ ফিলিপাইন থেকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। তবে অনেকটা অংশই উদ্ধার হয়নি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ ফেরত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক গত জুন মাসে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি পাঠায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করেন, ফেডারেল ব্যাংকের চাপের কারণে গত সপ্তাহে অর্থ চুরির ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার কারণে আরসিবিসিকে ১০০ কোটি পেসো জরিমানা করেছে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।