দুর্নীতিবাজ ৩ ব্যাংক কর্মকর্তাসহ গ্রেপ্তার ৭

arrest1জাল দলিলের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতসহ আরও কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। ঢাকা, রাজশাহী, ফরিদপুর ও সাতক্ষীরা থেকে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রোববার দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভূট্টচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে ইসলামী ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা হলেন-ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (বর্তমানে-চাকুরিচ্যুত) মো. শামছুদ্দিন, সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. ইনামুল হক এবং মেসার্স থ্রি স্টার অ্যান্ড কোং- এর মালিক ডা. এমএ মান্নান। দুদকের ঢাকার প্রধান কার্যলয়ের সহকারী পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন এই তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।

ভুয়া দলিল তৈরি করে ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২১ জুন রাজধানীর বংশাল থানায় করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মিরপুর হাউজিং এস্টেটে ১১ নম্বর সেকশনের ব্লক-সি, এভিনিউ-৫, রোড নং-৪, এর প্লট নং ১০-এর ১ দশমিক ৫ কাঠা জমির মালিক আলী হোসেন। এই জমিতে ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে আরবান স্কাই লাইন নামের ডেভেলপার কোম্পানির সাথে ৬ তলা ভবন নির্মাণের চুক্তি করা হয়। আসামি ডা. এম এ মান্নান আরবান স্কাইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আল্-ফাত্তাহ হাবিবুল্লাহর সাথে যোগসাজশ করে জনৈক ব্যক্তিকে ভুয়া আলী হোসেন সাজিয়ে সই-স্বাক্ষর জাল করে। পরে ঐ জাল দলিল দেখিয়ে ব্যাংকের লোকদের সঙ্গে যোগসাজসে ইসলামী ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ১২ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯১ টাকা লোন নিয়ে পুরো অর্থ আত্মসাত করা হয়।

এদিকে, চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রামীণ ব্যাংক চুকিত্তি শাখার সেন্টার ইনচার্জ মো. আবদুল কাইয়ুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজশাহীর পুলিশ লাইন গেট থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক (রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়) রাজিয়া খাতুন তাকে গ্রেপ্তার করে। ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা গ্রামীণ ব্যাংক থেকে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৫ জুলাই শিবগঞ্জ থানায় মামলাটি করা হয়।

অতিরিক্ত লাভের আশ্বাস দিয়ে নিরীহ জনসাধারণের নিকট হতে এক কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা আদায়পূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় নিউ প্রাইম মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. এর সেক্রেটারি মিসেস শম্পা রাণী সাহাকে ফরিদপুরের ডিআইব বটতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০০২-২০০৩ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার কর্মসূচির ৮৫ হাজার টাকা উত্তোলনপূর্বক প্রকল্পের কোন কাজ না করে আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আজিজুর রহমান এবং আবুল কালাম আজাদকে করা হয়েছে। চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল শ্যামনগর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত