‘নায়িকা পরী মনি হামলার আগেই চলে গিয়েছিলেন’

pori-moni-hot-song“ঢাকাই সিনেমার অালোচিত নায়িকা পরী মনিকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়নি। তিনি এখন নিরাপদেই আছেন। কেননা, হামলার আগেই শ্যুটিং শেষ করে চলে গিয়েছিলেন তিনি।”

কক্সবাজারের রামুতে ‘রক্ত’ ছবির শ্যুটিং থেকে চিত্রনায়িকা পরী মনিকে অপহরণ চেষ্টার খবরটি সঠিক নয় দাবি করে এসব বলেছেন জাজ মাল্টিমিডিয়ার ম্যানেজার মোহাম্মদ উজ্জ্বল।

উজ্জ্বলের দাবি, হামলার আগেই স্পট ত্যাগ করেছিলেন ছবির নায়িকা পরী মনি। তাই তাকে অপহরণের চেষ্টা করার বিষয়টি সত্য নয়। তিনি এখন নিরাপদে আছেন। তবে শ্যুটিংয়ে হামলার ব্যাপারে রামু থানায় মামলা করা হচ্ছে।

তবে শ্যুটিংয়ে হামলার বিষয়টি স্বীকার করে উজ্জ্বল জানান, রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি চাইন্দায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাজের ‘রক্ত’ ছবির শ্যুটিং চলছিল। শিল্পীসহ ২৪৫ জন কলাকুশলী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শ্যুটিং শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ৬/৭ জন দুষ্কৃতিকারীরা স্পটে উপস্থিত হয়ে হামলা চালায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হামলার সময় লোকজন ছুটাছুটি করতে থাকে। এতে শ্যুটিং দলের সুমি ও রফিকসহ আহত হয় তিনজন। তাদের কক্সবাজার মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পুলিশ তিনজন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করে। এরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলার বাংলাবাজার মৌলভীপাড়ার হামিদুল হক হামিদ (২৪), রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি মুসলিমাবাদ এলাকার কাউসার আলমগীর আরাফাত (২৭) ও কোলাপাড়া টুলাটুলি এলাকার সজীব ভুইয়া সেলিম (২৭)।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর জানান, ইন্টারন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবে শ্যুটিং চলাকালে হামলার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। খবর পাওয়া মাত্রই ফোর্স পাঠানো হয়। ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাছাড়া হামলার ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটক করতে অভিযান চলছে।

এদিকে স্থানীয়রা জানায়, ইন্টারন্যাশনাল অ্যামিউজমেন্ট ক্লাবের পাশেই যেখানে শ্যুটিং চলছিল সে স্থানটি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলছিল। সে কারণেই শ্যুটিং চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে দুপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উত্তেজিত কিছু দুষ্কৃতিকারী শ্যুটিংয়ে বাধা দেয়।

ad

পাঠকের মতামত