মৃত ডাক্তারের নামে প্যাড ছাপিয়ে ছেলে করছে চিকিত্সা

death_doctor_Newsworldbd picবাবা ছিলেন ডাক্তার। তিনি কবেই চলে গেছেন পরপারে। তাতে কি? ছেলে মৃত বাবার নামে প্যাড ছাপিয়ে করছে ডাক্তারি।

জানা গেছে, দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার নুরন্নবী নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসা ব্যবস্থা দিয়ে থাকেন। এ জন্য তিনি অনুসরণ করেন পিতা মৃত মোক্তার মজিদকে। যে কারণে প্রেসক্রিপশনটি ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

মোক্তার মজিদ নামের ওই ব্যক্তি এলাকায় বেশ জনপ্রিয় চিকিৎসক ছিলেন। তার ছেলেই নুরুন্নবী। নিজের নাম প্রেসক্রিপশনে ছোট করে লিখলেও বাবার নাম বড় করে লেখেন এবং নামের সামনে মৃত শব্দটিও যুক্ত করে দিয়েছেন। ডা. নুরন্নবীকে স্থানীয়রা প্রিন্স নামে চেনেন।

অদ্ভুত ব্যাপার হলো, বাপের নামের পর নিজের নামের সামনে ইংরেজিতে সংক্ষিপ্ত আকারে এস/ও (S/O) লিখেছেন। ইংরেজি অনুযায়ী এই S/O-এর অর্থ হলো নুরন্নবীর পুত্র মোক্তার। আসলে বিষয়টি উল্টো। তা ওই নুরন্নবীকে কে বোঝাবে!

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নবাবগঞ্জের এক ব্যক্তি বলেন, এখানে (রোগ নিধন ফার্মেসি) মোক্তার মজিদ ডাক্তার সাহেব বসতেন। তিনি এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। সে সময় কোনো ডাক্তার আশপাশে না থাকায় মোক্তার সাহেব স্থানীয়দের চিকিৎসাসেবা দিতেন। প্রচলিত আছে মানুষ তার কাছে এলেই দ্রুত সেরে উঠতেন।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, মোক্তার মজিদের মৃত্যুর পর সেখানে ডাক্তার সেজে নুরন্নবী (প্রিন্স) বসেন। তবে নিয়মিত না। মাঝে মাঝে বসেন। প্রেসক্রিপশনে পিতার নাম ব্যবহার কেন করেন? এমন প্রশ্নের কারণ হিসেবে প্রিন্সের কাছের একজন জানান, বাবার নাম ছাড়া প্রিন্সকে কেউ চিনবে না, এ জন্যই হয়ত বাবার নাম ব্যবহার করেন।

সূত্রটি জানা জানায়, নবাবগঞ্জ বাজারের ব্রিজের নিকট নিউ মার্কেটের ‘রোগ নিধন ফার্মেসি’ ডাক্তার মোক্তার মজিদ চালাতেন। তিনি প্রায় চার বছর আগে মারা গেলে ছেলে প্রিন্স হাল ধরেন। কিন্তু তিনি ফার্মেসি চালাতে ব্যর্থ হলে সেটা আফতাব নামের এক ব্যক্তির নিকট লিজ দেন।

ad

পাঠকের মতামত