তুরস্কে আরো ১৪০০ সামরিক কর্মকর্তা বরখাস্ত
ব্যর্থ অভ্যূত্থান প্রচেষ্টার জেরে এবং যুক্তরাষ্ট্র বসবাসরত ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে যোগসাজশ থাকার সন্দেহে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীর আরো প্রায় ১,৪০০ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান সশস্ত্র বাহিনীতে আমূল পরিবর্তন আনার ঘোষণা দেয়ার কয়েকঘন্টা পরই এত বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা বরখাস্ত হল।
রবিবার গেজেট আকারে সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিলে পরিবর্তন ও সেনা সদস্যদের বরখাস্ত করার ঘোষণা দেয়া হয়। ওই গেজেট অনুযায়ী, গুলেনের সঙ্গে যোগসাজসের সন্দেহে উচ্চ পদস্থ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তাসহ ১,৩৪৯ জন সেনা সদস্য বরখাস্ত হলেন। এর আগে তুরস্ক শতাধিক জেনারেল ও অ্যাডমিরালসহ ১,৭০০’র বেশি সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছিল।
তুরস্কের সাম্প্রতিক অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার জন্য গুলেনকেই দায়ী করে আসছে আঙ্কারা। গুলেনের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তুরস্কে এ পর্যন্ত ৬৬ হাজার জন আটক, বরখাস্ত বা চাকুরিচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, বিচারকসহ শিক্ষকরাও রয়েছেন।
গত শনিবার সন্ধ্যায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান মিলিটারি একাডেমিগুলো বন্ধ করে দেয়া এবং সশস্ত্র বাহিনীকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন।
আগের সুপ্রিম মিলিটারি কাউন্সিলে শুধু প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতেন। এখন তাদের সঙ্গে উপ প্রধানমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাউন্সিলে সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
কাউন্সিল থেকে বেশ কয়েকজন সেনা কমান্ডারকে বাদ দেয়া হবে। যাদের মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, এজিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও ফৌজি-পুলিশ বাহিনীর প্রধানও রয়েছেন।
সূত্র : রয়টার্স