‘ভার্জিন ভুত’ উর্বশী
ছিলেন বিজ্ঞানের ছাত্রী। আইনস্টাইনের সূত্র নিয়ে তার গবেষণা। কিন্তু সেই উর্বশী রাউতেলা এবার ভুত হয়ে গেছেন। তাও আবার ভার্জিন ভুত! চুটিয়ে প্রেম করছেন তিন তরুণের সঙ্গে। কলকাতার একটি দৈনিককে দেওয়া সেই ভৌতিক সাক্ষাতকার পাঠকদের জন্য তুলে দেওয়া হলো :
আপনাকে কি ‘গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি’ নিয়ে আগে প্রশ্ন করব? নাকি অন্য কিছু?
করুন না, যা ইচ্ছে!
আপনি নাকি ‘গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি’তে ভূত!
হ্যাঁ! যে সে ভূত নয়, ভার্জিন ঘোস্ট!
সেটা কী রকম?
আমি ছবিতে সোলো হিরোইন। আমার বিপরীতে তিনটে ছেলে। সকলের গার্লফ্রেন্ডই আমি। ইট্স আ নটি হরর কমেডি! আমার গোটা কেরিয়ারে বোধহয় এর চেয়ে জটিল চরিত্র করিনি। বেশ চ্যালেঞ্জিংও। ওই ভার্জিন ঘোস্ট আবার গোটা ব্রহ্মাণ্ডের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে।
জটিল কেন বলছেন?
একই সঙ্গে মেয়েটা সুন্দরী, ভালনারেব্ল, নিষ্পাপ। যেগুলোর একটাও ভূতের চরিত্রের সঙ্গে মেলে না। সাধারণত এই ধরনের ভূতেদের বলিউডে দেখা যায় না! তাছাড়া ভূতের চরিত্রে খুব বেশি অভিনেত্রীকে দেখবেনও না।
মিষ্টি ভূতের চরিত্রে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও কি রয়েছে? অস্বস্তি হয়েছিল সেগুলো করতে?
আরে, সে রকম কোনও ‘ইন্টিমেট সিন’ই রাখেননি পরিচালক (ইন্দ্র কুমার)!
কারও কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিলেন, যারা আগে ভূতের চরিত্রে অভিনয় করেছেন?
কোনও অভিনেত্রীর থেকে তো নিইনি। তবে ‘ভূতনাথ’এর অমিতাভ বচ্চন আমার অনুপ্রেরণা বলা যেতে পারে। চরিত্রটাই সে রকম। আমি কিন্তু চরিত্রটা নিয়ে বেশ এক্সাইটেড!
সে তো বোঝাই যাচ্ছে…!
(হাসি) তা বটে!
আপনি তো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী ছিলেন। সেখান থেকে বলিউডে চলে এলেন কীভাবে?
দ্য জার্নি হ্যাজ বিন গ্রেট! এটা কিন্তু আমি কখনও প্ল্যান করিনি। আমি বিজ্ঞানের ছাত্রী। বিষয় ছিল পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, অঙ্ক এবং কম্পিউটার সায়েন্স। জাতীয় স্তরে বাস্কেটবল খেলেছি। নাচও শিখেছি বিভিন্ন ধরনের। ছোট থেকেই স্পোর্টস, ডান্সিং, পড়াশোনা নিয়ে থাকতাম। কখনও অভিনয় করব ভাবিনি। প্ল্যান তো করিইনি। আমার আশপাশের লোকজন আর বিশেষ করে বন্ধুদের প্ররোচনায় এই পেশায় চলে এলাম!
বাবা-মা বকাঝকা করেননি?
(হাসি) ওহ্! না, না! একদমই না! তারা তো জানতেন, মেয়ে এটাই করতে চলেছে। ১৫ বছর বয়স থেকে আমার কাছে অ্যাত্তো ছবির অফার আসতে শুরু করেছে। প্রথম প্রস্তাব পেয়েছিলাম ‘যশ রাজ ফিল্মস’ থেকে। ‘ইশকজাদে’ ছবির জন্য। কোথাও না কোথাও বাবা-মা বুঝতে পারছিলেন বোধহয়, মেয়ে এত অফার পাচ্ছে, নিশ্চয়ই ফেরাবে না!
এত অল্প বয়সে মুম্বই ইন্ডাস্ট্রিতে এসে সমস্যায় পড়তে হয়নি?
আমার ক্ষেত্রে হয়নি। মনে আছে, ২০১৩’র জানুয়ারিতে দিল্লি থেকে মুম্বই শিফ্ট করেছিলাম। পরের মাসেই, মানে ফেব্রুয়ারিতেই সুপারস্টার সানি দেওলের বিপরীতে কাজ শুরু করলাম ‘সিংহ সাহেব দ্য গ্রেট’ ছবিতে। জার্নি হ্যাজ বিন ভেরি ভেরি স্মুথ! অন্য অভিনেত্রীদের যেমন প্রচুর অডিশন দিতে হয়, অনেক টেস্ট দিতে হয়, সে রকম আমাকে করতে হয়নি অন্তত!
সেটা কি আপনি ততদিনে বেশ কয়েকটা বিউটি কনটেস্ট জিতে বলিউডে গিয়েছিলেন বলে?
মনে করা হয়, বিউটি কনটেস্টে বিজয়ীদের বলিউডে কাজ পাওয়াটা অনেক সোজা…। ইট ইজ আ থিং দে কল ইজি! সত্যিই কি ততটা সোজা? দেখুন, আমার ক্ষেত্রে বলতে পারি, ততদিনে আমি ইন্টারন্যাশনাল বিউটি কুইন হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গিয়েছি। ‘মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া’, ‘মিস ট্যুরিজম ওয়ার্ল্ড’ ইত্যাদি। আই ওয়াজ আ রেকগনাইজ্ড ফেস! সুপারমডেল! কাজেই, হ্যাঁ আমি জনপ্রিয় মুখ তো ছিলামই।
‘মস্তি’ এবং ‘গ্র্যান্ড মস্তি’ সম্পর্কে সমালোচকেরা বলেন, নারীদের শরীরকে ছবিগুলোতে অতিরিক্ত পরিমাণে ‘অবজেক্টিফাই’ করা হয়? আপনি নিজে একজন নারী। এই বিষয়টাকে কীভাবে দেখেন?
দেখুন, আমার মনে হয় ছেলেদেরও এখানে একটা দায়িত্ব থাকে। কোন মেয়ে বাইরে কী পরে আছে, সেটা না দেখে বরং মেয়েটার মনের ভিতরটা দেখার চেষ্টা করা উচিত। দ্যাট ইজ হোয়াট আই বিলিভ ইন!
আর সেন্সর বোর্ডের এই ‘দেখা’টা নিয়ে কী বলবেন?
তারা ছবি সেন্সর করেন। তারা দেখেন, কোনটা কী রকম হওয়া উচিত, কোনটা কী রকম হওয়া উচিত নয়। পুরোটাই তাদের ব্যাপার। ওই ডিপার্টমেন্ট নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
আপনি নাকি সালমান খানের সঙ্গে কাজ করছেন?
(হাসি) এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছু কথা এগোয়নি। যদি সত্যিই সালমানের সঙ্গে কাজ করি, শিগগিরই জানতে পারবেন।
‘গ্রেট গ্র্যান্ড মস্তি’র পরে কী?
প্রচুর এক্সাইটিং প্রজেক্ট আসছে! এটা বোধহয় সেই প্ল্যাটফর্ম নয়, যেখানে ওই প্রজেক্টগুলো নিয়ে কথা বলা উচিত।
তার মানে আপাতত ‘রেশম কা রুমাল’ নিয়েই থাকতে হচ্ছে…!
এই গানটা যে এ রকম হিট হবে, ভাবতেই পারিনি!
এত মিষ্টি ভূত তো বহুদিন দেখা যায়নি পরদায়…।
বলছেন? ধন্যবাদ!