348727

‘৮৯.৩৫ শতাংশ পুরুষ মনে করে পরিবারে নারীর সিদ্ধান্ত জরুরি’

দেশের কয়েকটি জেলায় পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ৮৯.৩৫ শতাংশ পুরুষ মনে করে পরিবারে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি।

ইউএস এইড ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের যৌথ আয়োজনে ‘মেল এনগেজমেন্ট ফর জেন্ডার ইক্যুয়ারিটি: সাসটেইনড ইমপ্যাক্ট অ্যান্ড চেঞ্জেস ইন সাউথ ওয়েস্ট বাংলাদেশ’ ওয়ার্কশপে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। সোমবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিভিশন অব নেচার এনালাইসিস করে দেখা যায় পুরুষরা উপার্জনকারী ব্যক্তি হিসেবে সমাজে গণ্য হয়ে থাকে। নারীরা গৃহস্থালির কাজ করে, তবে তাদের কাজের মূল্যায়ন হয় না। নারীরা যেমন চ্যালেঞ্জ নিয়ে বাইরে কাজ করছে পুরুষদেরও তেমন ঘরের কাজ করা উচিৎ। যে পরিবারের স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে কাজ করে সেখানে আর্থিক সমৃদ্ধি হয়। যার মাধ্যমে নারীরা ক্ষমতায়িত হয়।

ওয়ার্কশপের উপস্থাপিত গবেষণা প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবযাত্রা প্রকল্পটি খুলনার দাকোপ ও কয়রা এবং সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ এলাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, সেখানে পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ, ঘরের বাইরে নারীর কাজে অংশগ্রহণ ও বাল্যবিয়ে বিষয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন হয়েছে।

৯ হাজার ৮১৪ জন দম্পতির মধ্যে ৮৯.৩৫ শতাংশ পুরুষ মনে করে পরিবারে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই জরুরি। যা বেজলাইন সার্ভে ছিল ৪৩.৩০ শতাংশ। ৪৪.১৬ শতাংশ পুরুষ মনে করে কাজের জন্য ও জরুরি প্রয়োজনে নারীদের বাড়ির বাইরে যাওয়া স্বাভাবিক। যা বেজলাইন সার্ভে ছিল ১৮.৩০ শতাংশ। ৯২.৬৫ শতাংশ পুরুষ মনে করে গৃহস্থালি কাজে পুরুষদেরও সহায়তা করা দরকার।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে আরও বড় পরিসরে কাজের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের ক্ষমতায়েন ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি। নারী যত দ্রুত সব অর্থনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত হবে তত দ্রুত দেশের উন্নয়ন হবে।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেটের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য করেন ইউএন উইমেন কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ শোকো ইশিকাঊয়া ও ইউএস এইডের বাংলাদেশে মিশন ডিরেক্টর ডেরিক এস ব্রাউন, প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন ইউএস এইড বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট মাহমুদা রহমান খান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের অধ্যাপক তাসলিমা ইয়াসমিন। এ ছাড়া গবেষক, দেশি-বিদেশী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।

ad

পাঠকের মতামত