348765

মান্না দে’র গানে ভাইরাল খুলনার কাঠমিস্ত্রি আনন্দ (ভিডিও)

পেশায় তিনি একজন সাধারণ কাঠমিস্ত্রি। নাম আনন্দ রায়। বাড়ি খুলনার, চালনা গ্রামে। কাজের ফাঁকে আনমনে গেয়ে উঠলেন মান্না দের জনপ্রিয় গান। অন্তর্জালে সে ভিডিও প্রকাশ হতেই রীতিমতো ভাইরাল এ কাঠমিস্ত্রি। নেটিজেনদের অনেকেই বলছেন- হুবহু মান্না দের মতোই গেয়েছেন তিনি।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, পুরানো লুঙ্গি আর শার্ট পরিহিত আনন্দ। করাত হাতে বাঁশ কাটার ফাঁকে কণ্ঠে তুললেন ‘আমি যে জলসা ঘরে’ গানটি। পুরো খালি গলায় গানটি গাইলেন তিনি।

শ্রোতারা মুগ্ধ হয়েছেন গানটিতে। তা ভিডিওর কমেন্টস বক্স থেকেই আন্দাজ করা গেছে। তুহীন শুভ্র নামে একজন লিখেছেন, ‘দারুণ গলা, ভালো লাগলো। আর একটু দুঃখ লাগল। ট্যালেন্ট বোধ হয় সব সময়ই দারিদ্র্যের কাছে হেরে যায়।’ মানস দত্ত নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল, গলাটা শুনে। ভগবান আপনাকে ভালো রাখুক।’

কাঠমিস্ত্রি আনন্দ রায়ের গলাকে ‘ঈশ্বর প্রদত্ত’ বলে উল্লেখ করে বিপুল দে লিখেছেন, ‘বিরল। ঈশ্বর প্রদত্ত প্রতিভা। এতো দুঃখ কষ্টের মধ্যেও মান্না দের গান আমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে। ওনাকে নমস্কার।’ তার নীচেই সুনীল চৌধুরী লিখেছেন, ‘সে কাঠ মিস্ত্রি হোক বা রাজ মিস্ত্রি হোক সেটা বড় কথা নয়। এমনি গান গাওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকলেও যে গান তিনি গেয়েছেন এক কথায় অপূর্ব। খুবই ভালো লেগেছে তার গান। অসাধারণ।’

‘আমি যে জলসা ঘরে’ গানটির মূল শিল্পী মান্না দে। ১৯৬৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি’ সিনেমার জন্য এ গানটি গেয়েছিলেন তিনি। গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের কথায় গানটির সংগীত পরিচালনা করেছিলেন অনিল বাগচী। রোমান্টিক-স্যাড ঘরানার এ গানটি আজও সংগীত প্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে আছে।

ad

পাঠকের মতামত