348522

শিশুটি খুবই অসুস্থ, তাই হত্যা করে টয়লেটের ট্যাংকে ফেলে দেয় বাবা-মা!

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হাওয়ালখালীতে দিনদুপুরে চুরি হওয়ার ৩৬ ঘণ্টা পর ১৫ দি‌নের নবজাতক সোহানের মর‌দেহ বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ ন‌ভেম্বর) দিনগত রাত ১টার দিকে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে।

এর আগেই সোহানের বাবা সোহাগ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অপরদিকে শিশুটির মাকে অসুস্থতা জনিত কারণে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার সকালে সদর থানা পুলিশ ও পিবিআই পৃথকভাবে চুরি হওয়া শিশুটি উদ্ধারে কাজ শুরু করে। দুপুরে শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সাতক্ষীরা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর্জা সালাহ উদ্দীন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে শিশুটির মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, যে শিশুটি খুবই অসুস্থ ছিল। সে জন্ডিস, রিকেট, নিউমোনিয়া ও হার্টের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিল।

মীর্জা সালাহ উদ্দীন বলেন, এ সমস্ত কারণে ও ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে যোগসাজশে শিশুটিকে হত্যা করে মরদেহ গুমের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।

তিনি আরো জানান, শিশুটির বাবা সোহাগ হোসেন শিশুটিকে মেরে তাদের বাড়ির সামনের সেপটিক ট্যাংকির ভেতরে ফেলে দেয়। আর এ কাজে সহযোগিতা করে তার মা ফাতেমা খাতুন। পুলিশ বিষয়টি জানার পর শুক্রবার রাত ১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে।

সূত্র: কালের কন্ঠ

ad

পাঠকের মতামত