348546

বিক্রির জন্য ১০ লাখ ভ্যাকসিন আনছে বেক্সিমকো

সরকারের তিন কোটি ডোজ কোভিড-১৯ এর টিকার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে বিক্রির জন্য ১০ লাখ ডোজ টিকা আনবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি.। প্রথম পর্যায়েই এই টিকা দেশে পৌঁছাবে এবং তা বেসরকারি ফ্রন্টলাইনার এবং সাধারণ জনগণ উভয়কেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো।

প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ১ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে সরকারিভাবে অতিরিক্ত কোনো ফি যুক্ত করা হলে সেটাও দামের সঙ্গে যুক্ত হবে।

বেক্সিমকো ফার্মার চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা একটি ইংরেজি দৈনিককে জানিয়েছেন, তারা এরই মধ্যে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত অর্ডার নিশ্চিত করেছেন। আগামী দিনগুলোতে ভ্যাকসিন আমদানি বাড়বে।

সরকারিভাবে আমদানি করা ভ্যাকিসনগুলো গুরুত্বের ভিত্তিতে বিতরণ করা হবে। যেমন সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীদের মতো ফ্রন্টলাইনার এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সীরা আগে পাবেন।

বেক্সিমকো বলছে, তাদের আমদানি করা ভ্যাকসিনগুলো হবে প্রাইভেট সেক্টরের স্বাস্থকর্মীদের জন্য সেফগার্ড। যদিও ভ্যাকসিন কাদের দেওয়া হবে সেই তালিকা এখনও করেনি তারা।

রাব্বুর রেজা বলেন, গার্মেন্টস, ওষুধ কোম্পানি, ব্যাংক এবং করপোরেট অফিসগুলোর কর্মীরা সরকারিভাবে ফ্রন্টলাইনার না। তবে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে তারাও নিজেদের অবস্থান থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মানুষগুলো কাজে যাচ্ছেন এবং আক্রান্ত হচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমরা এই অতিরিক্ত ডোজ আনছি বেসরকারি সেক্টরের ফ্রন্টলাইনার এবং সাধারণ মানুষের জন্য, যারা ভ্যাকসিন পেতে দেরি করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন AZD 1222-এর প্রতি ডোজ ৫ ডলার করে কিনছে সরকার।

রেজা বলেন, আমরা অক্সফোর্ডকে প্রতি ডোজের জন্য ৮ ডলার করে পরিশোধ করবো। অতএব সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য হবে ১২শ’ টাকা। যদিও দামটা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

তিনি জানান, চূড়ান্তভাবে দাম নির্ধারণ করা হবে ভ্যাকসিন আমদানিতে সরকারের পলিসির ওপর ভিত্তি করে। যেখানে আমদানি খরচ এবং ইনস্যুরেন্সও যুক্ত হবে।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন আমদানির জন্য গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিরাম ইনস্টিটিউিট অব ইন্ডিয়া এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লি. এর মধ্যে ত্রিপক্ষীয় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ছয় মাসের প্রথম পর্যায়ে সরকারিভাবে এই ভ্যাকসিনের প্রায় ৩ কোটি ডোজ আসবে বাংলাদেশে। প্রতি মাসে আসবে ৫০ লাখ ডোজ। জন প্রতি দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সে হিসেবে মোট দেড় কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পাবে; যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশের কাছাকাছি।

ad

পাঠকের মতামত