348106

দুই দিনেই ধ’র্ষণ মামলার বিচার শেষ করে ইতিহাস সৃষ্টি

রংপুরে মাত্র দুই দিনেই ধ’র্ষণ মামলার বিচার শেষ করা হয়েছে। আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত আজ মঙ্গলবার রংপুরের নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন আদালত-৩ এর বিচারক মোস্তফা পাভেল রায়হান এ রায় প্রদান করেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম মাত্র দুই কার্য দিবসে ধ’র্ষণ মামলায় রায় প্রদান করা হলো। মামলার বিবরণে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বিশ্বনাথ গ্রামের আলতাফ হোসেনের কন্যাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান পর পর তিন দিন ‘ধ’র্ষণ করে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় আসামি। এ ঘটনায় কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।

পরে ধ’র্ষি’তা নারী ও নি’র্যাতন আদালতে নালিশি মামলা দায়ের করে। বিচারক বাদিনীর জবানবন্দি নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে তদন্তের জন্য আদেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। বিজ্ঞ আদালত আসামি মোস্তাফিজার রহমানের বি’রুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। পরবর্তীকালে আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়। চলতি বছরের দুই সেপ্টেম্বর আদালত আসামির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নি’র্যাতন দমন আইনে চার্জ গঠন করে ২৩ নভেম্বর সাক্ষ গ্রহণের দিন ধার্য করেন। সোমবার বাদিনীসহ পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হলে মঙ্গলবার আদালত মামলার যুক্তি তর্ক প্রদর্শন ও রায়ের দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারটায় সরকার পক্ষের ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শুনানির পর বিকেলে রায়ের সময় ঘোষণা করে। পরে বিকেল পৌনে পাঁচটায় বিচারক আসামি মোস্তাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে ধ’র্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রইছ উদ্দিন বাদশা অ্যাডভোকেট তারা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। সেইসঙ্গে মাত্র দুই দিনেই মামলার বিচার সম্পন্ন করায় বিচারককে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন ধ’র্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা গেলে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। অন্যদিকে সরকারপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পিপি লাইজু অ্যাডভোকেট বলেন, দুই দিনেই বিচার শেষ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বিচারক। রায় সম্পর্কে বলেন বাদিনী সাক্ষী ঠিক মতো দিতে পারেননি। মামলা প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

ad

পাঠকের মতামত