348110

করোনায় ভাসমান যৌ’নকর্মীদের ‘আশ্রয়স্থল’ ছিলেন রিনা

করোনা মহামারিতে আয় বন্ধ যৌ’নকর্মীদের। কেউ এগিয়ে আসেনি তাদের সহযোগিতায়। ঠিক সেই সময় প্রতিদিন ২০০ যৌ’নকর্মীকে খাওয়াতেন রিনা আক্তার। এক/দুই দিন না, টানা ৪ মাস তাদের খাইয়েছেন তিনি। খাবারের মধ্যে ছিল ভাত, সবজি, ডিম ও মাংস।

এই রিনা এখন ‘বিবিসি ১০০ নারী’ তালিকার ৬ নম্বর। অথচ তিনি নিজেও এক সময় ছিলেন যৌ’নকর্মী। ফলে অন্যদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার খবর সহজেই বুঝতে পারেন তিনি। তাই মহামারিকালে এগিয়ে আসেন ভাসমান যৌ’নকর্মীদের সাহায্যে।

রিনা আক্তার যৌ’নকর্মীদের সংগঠন দুর্জয় নারী সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক। যৌ’নকর্মী সংগঠনগুলোর জোট সেক্স ওয়ার্কার্স নেটওয়ার্ক অব বাংলাদেশের সদস্য।

রিনা আক্তার বিবিসিকে বলেছেন, ‘লোকজন আমাদের পেশাকে ছোটো করে দেখে কিন্তু আমরা এটি করি খাবার কেনার জন্য। আমি চেষ্টা করছি যাতে এই পেশার কেউ না খেয়ে থাকে এবং তাদের বাচ্চাদের যেন এ কাজ করতে না হয়।’

রিনা আক্তারের সম্পর্কে বিবিসি’র বর্ণনায় বলা হয়েছে- মাত্র আট বছর বয়সে তাঁর এক আত্মীয় তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিয়েছিলো। সেখানেই তিনি বেড়ে ওঠেন ও পরে যৌ’নকর্মীতে পরিণত হন। কিন্তু এখন তিনি অন্য যৌ’নকর্মীদের জীবনমানের উন্নয়নে কাজ করছেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে রিনা ও তার টিম ঢাকায় প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারশো যৌ’নকর্মীকে খাবার সরবরাহ করেছেন। এসব যৌ’নকর্মীরা মহামারির কারণে চরম অর্থনৈতিক দুরবস্থায় পড়েছেন।

ad

পাঠকের মতামত